চৌগাছায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

যশোরের চৌগাছায় চাঁদার টাকা না দেয়ায় মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো ও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক শীর্ষ নেতা। নারায়নপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ফারুক হোসেনের সাথে আতাআত করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেনকেও ফাসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

ওই নেতার অত্যাচারে বহু নেতাকর্মীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এসব অভিযোগ তুলে আজ বুধবার সকালে প্রেসক্লাব চৌগাছায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাড়ী বুন্দলীতলা গ্রামে। আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত আছি। বিগত নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। তিনি বলেন, আমার ভাই আমিরুল ইসলাম নারায়নপুর ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০১২ সালে স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা হত্যার শিকার হয়। আমার পরিবারটি রাজনৈতিক পরিবার হিসাবে সকলে চেনেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হুসাইনের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে।

কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান রিন্টুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ, মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধে বর্তমানে দল থেকে কোণঠাসা। এসব অভিযোগের কারনে সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হুসাইনের সাথে তার দ্বন্দ রয়েছে। ইব্রাহিম হুসাইনের সমর্থন ও সাথে থাকার কারনেই আমি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।

তিনি বলেন সম্প্রতি আমার মায়ের সাথে মামাদের জমিজমা নিয়ে সামান্য বিরোধ আছে। সেটা আমাদের নিজেদের বিষয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান রিন্টু মামাদের পক্ষ নিয়ে রাজনীতির প্রভাব খাটাচ্ছেন। এটা জানতে পেরে আমি তাকে নিষেধ করি। মামাদের সাথে আমার পরিবারের ঝামেলা মিটেও গেছে। তারপরও তিনি আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করার কারনে তিনি বারবার ফোনে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি টাকা না দিলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও শ্বাসাচ্ছেন। একই সাথে আমার নেতা ইব্রাহিম হুসাইনকেও দেখে নেয়ার হুমকি দেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তিনি আরো বলেন, এই হুমকির ৩ দিন পরেই অপরিচিত অনলাইন নিউজপোর্টালে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। নিউজে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হুসাইনসহ আমার বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে। সেখানে আমাদের নামে কাল্পনিক কাহিনি সাজানো হয়েছে। নিউজে কারো কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি। নিউজে যে গল্প সাজানো হয়েছে সেটা মিথ্যে ও মনগড়া।

দুঃখজনক ঘটনা হলো নিউজে গরুচুরি সংক্রান্ত কাল্পনিক গল্প সাজানো হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হুসাইন নিজেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে পঙ্গত্ব বরণ করছেন। এখনো তিনি অসুস্থ্য ও চিকিৎসাধীন। মিথ্যে ঘটনা সাজায়ে দলের মধ্যে তাঁর ক্লিন ইমেজ ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। তিনি অভিযোগ করেন জিয়াউর রহমান রিন্টু একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে হলুদ সাংবাদিকতার নামে জনগনের নিকট থেকে সে চাঁদাবাজি করে।