যশোর সদরের রাজাহাট বাজারের বাজারের ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে সিয়ামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফসহ ৯ বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রামনগর গ্রামের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন ফুলন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো হলো, যশোর সদরের মুড়োলি ইমাম বাড়ী রোডের মোসলেম উদ্দীনের ছেলে রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ, পুকুলকুল গ্রামের ধোপাপাড়ার ইব্রাহিমের দুই ছেলে চশমা সাগর ও উছামা, একই পাড়ার আব্দুল্লাহ, মুফতি ইউনুস মুন্সির ছেলে রম্মান হোসেন, ফরিদের ছেলে রকি, রাজারহাট স্কুল পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে জিহাদ হোসেন, রামনগর পুকুরকুল গ্রামের বকুল হোসেন ড্রাইভারের ছেলে রায়হান ও শ্রীবর্ধী ঘোড়াগাছা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইত্তেহাক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জামাল হোসেন ফুলন রাজারহাট বাজারের প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। বেশ কিছুদিন ধরে আসামি মাহমুদ হাসান লাইফের হুকুমে অপর আসামিরা জামাল হোসেন ফুলনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা খুন-জখমের হুমকিসহ বাজারে ব্যবসা করতে দিবেনা জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে তার ছেলে সিয়ামকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ নভেম্বর বিকেলে ফুল ও তার ছেলে সিয়াম রাজারহাট শ্মশান মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারিরা সিময়াকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা ও তার পিতা ফুলনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ সময় দোকান ভাংচুর করে এবং টাকা লুট করে নিয়ে যায়। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য গত সোমবার এ বিষয়ে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান লাইফের সাথে কথা বললে তিনি জানান তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
