যশোরে ওএমএস ডিলারগন ওয়ার্ড কাউন্সিলর গনের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ প্রায়

সরকার কর্তৃক খোলা বাজারে বিক্রীর (ওএমএস) চাউল,আটা যশোর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডিলারগন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তারা সরকার কর্তৃক সরবরাহ কর্তৃক চাউল,আটা বিতরণ করতে গিয়ে দারুনভাবে হিমশিম খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, যশোর পৌরসভার অধীনে ওএমএস ১৪জন ডিলার রয়েছেন। প্রতিদিন পৌরসভার অভ্যন্তরে চাউল কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে মাথাপিছু ৫ কেজি ১৫০ টাকা ও আটা কেজি প্রতি ১৮ টাকা দরে ৫ কেজি ৯০ টাকা বিক্রি করছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিলারগন গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ ছাড়া বিভিন্ন পেশার নারী পুরুষদের কাছে সরকার কর্তৃক নির্ধারনকৃত দরে বিক্রি করে আসছে।

যশোর শহরের ওএমএস ডিলার গনের মধ্যে সালাউদ্দিন বকচর হুশতলায়,বাহাউদ্দিন রেলগেট, কাশেম বাবু বারান্দীপাড়া, সাবিদ হাসান বারান্দীপাড়া,বড় বাজারের মধ্যে শ্যামল,পুরাতন কসবা এলাকায় হাসান ইকবাল,জিলা স্কুলের সামনে মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লাইজুজ্জামান,ধর্মতলায় রোকন ব্যাপারী, ইব্রাহিম,ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে শেখ রবিউল ইসলাম রবি, চার খাম্বার মোড় বেজপাড়াস্থ তোতা মিয়া, বাবু সাহা,গোলাম মোহাম্মদ ও বিসিক শিল্প নগরী নিতাই সাহা। এসব ডিলারগন সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত চাউল,আটা খোলা বাজারে বিক্রি করলেও ইদানিং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন তাদের ভোটারদের জন্য স্লিপ দিয়ে ওই সব ডিলারগনের কাছে প্রেরণ করছেন।

যার ফলে ডিলারগন নিয়ম মোতাবেক চাউল,আটা সরবরাহ করতে চরম হিমশিম খাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ওএমএস ডিলারগন জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গন সাদা কাগজে তাদের নামের সিল মেরে ডিলারের কাছে প্রেরণ করছেন যাতে চাউল ও আটা দেওয়ার জন্য। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রতিদিন যেভাবে ওএমএস ডিলারগন এলাকার গরীব দিন মুজুর,বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে নিয়ম মোতাবেক চাউল ও আটা বিতরণ করেন। সেখানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরগন কর্তৃক প্রেরণকৃত সীলযুক্ত কাগজে চাউল ও আটা প্রেরনের জন্য পাঠানোর ফলে ডিলারগন পড়েন চরম সমস্যায়।

প্রতিদিন গরীব,অসহায়,দিন মুজুর ও বিভিন্ন পেশার মানুষের যে পরিমান চাউল,আটার চাহিদা থাকে সে পরিমান সরবরাহ করতে পারেন না ডিলারগন। সরেজমিনে দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ওএমএস ডিলারগনের বিতরণ পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছেন,সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন পেশার মানুষ চাউল,আটা নিতে ঘন্টারপর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অথচ ওয়ার্ড কাউন্সিলর গনের পাঠানো স্লিপে ডিলারগন পড়েন মহা বিপাকে।

তাছাড়া,প্রতিদিন যে পরিমান চাউল,আটা বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে সরবরাহ করা হয় তার চেয়ে অধিক নারী পুরুষ চাউল,আটা নিতে আসেন। ওএমএস ডিলারগন অবিলম্বে ওয়ার্ড কাউন্সিলর গনের অনৈতিক চাহিদার হাত থেকে রক্ষার পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।