উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ যশোর বিদ্যুৎ বিভাগ-২ এর কর্মকর্তা ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে

ওয়েষ্ট জোর পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ওজোপাডিকো লিঃ) যশোর বিদ্যুৎ বিভাগ-২ এর অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন কায়দায় গ্রাহকের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুতের লাইনম্যান এবং লাইন সাহায্যকারীরা নিয়মিত ডিউটি না করে বহিরাগত অর্থাৎ গ্যাটিস দিয়ে লাইন মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কর্মচারীদের ন্যায় সহকারী প্রকৌশলীরাও বহিরাগত (গ্যাটিস) নির্ভর হয়ে পড়েছে। অথচ বিদ্যুৎ বিভাগে এদের (গ্যাটিসদের) কোন বেতন দেওয়া হয়না।

একজন গ্রাহক তার বিদ্যুতের সমস্যা জনিত অভিযোগ অফিসে লেখানোর পর বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত লাইনম্যান ওই গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে দেখে বিদ্যুতের লাইন মেরামত করে দেয়া তার দায়িত্ব। অথচ লাইনম্যান না গিয়ে তার বহিরাগত (গ্যাটিস) অভিযোগকারী গ্রাহকের বাসায় গিয়ে বিদ্যুতের লাইন মেরামত করে দাঁড়িয়ে থাকে। টাকা না নিয়ে গ্রাহকের বাড়ি থেকে আসেনা।

কোম্পানীর দায়িত্বরত লাইনম্যান সকালে কিংবা ডিউটি রোষ্টার মোতাবেক স্বশরীরে হাজির হয়ে নিজে স্বাক্ষর করে সে মৌখিকভাবে সম্পূর্ন অবৈধভাবে দায়িত্ব তার বহিরাগত গ্যাটিসের কাছে হস্তান্তর করে নিজের সংসার কিংবা ঘোরাঘুরির কাজে চলে যায়। আর এই সুযোগে গ্রাহকেরা গ্যাটিসের কবলে পড়ে টাকা গুনতে বাধ্য হয়। টাকা না দিলে অনেক সময় গ্রাহকের অভিযোগ সমাধান করেন না গ্যাটিসরা।

বিদ্যুৎ বিভাগ-২ সূত্রে জানাগেছে, এই বিভাগের আওতায় পাঁচ বাড়িয়া ফিডার ইনচার্জের দায়িত্ব রয়েছে,জয়ন্ত কুমার পাল। তিনি ও লাইন ম্যান এবং গ্যাটিসরা গ্রাহকের বকেয়া আদায় করতে গেলে অসহায় গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিলের টাকা দিলে তার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিল ও জোর পুর্বক আদায় করে নিচ্ছে। সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিল জোর পূর্বক আদায় করতে না পারলে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিবে বলে হুমকী দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে দুপুরের ভিতর অর্থাৎ ওই দিনের ভিতরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল দিলেও ওই গ্রাহককে সাথে সাথে জরিমানা করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত গ্রাহক হয়রানীর মহৎসব চলছে এই বিভাগে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারীরা জানিয়েছেন, পাঁচবাড়ীয়া ফিডারে ইনচার্জ সহকারী প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার পাল, লাইন ম্যান আলমগীর হাজিরা খাতায় থাকলেও বাস্তবে দায়িত্ব পালন করছেন বহিরাগত (গ্যাটিস)। যাদেরকে গ্রাহক ত্রুটি থেকে রক্ষা পেতে টাকা গুনতে বাধ্য হচ্ছে। ওই ফিডারের দায়িত্বরত লাইনম্যান আলমগীরের দায়িত্ব পালন করছেন লাইনম্যান সহকারী, গ্যাস জামাল, মমরেজ ফকির, পুলিশ বাবুসহ নাম না জানা অনেকে। এদের কাছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ এর অধীনে গ্রাহকেরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে এ সব অপরাধের সত্যতা।

এ ব্যাপারে ফিডার ইনচার্জ সহকারী প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার পালের কাছে সাংবাদিকরা বিভিন্নস সময় তার ফিডারে অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।