বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে ৮ম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বিজিবি) এবং বিজিপির মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী ৮ম সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে শুরু হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। অপরদিকে, ডেপুটি চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স-এর পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং থুর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
মিয়ানমার প্রতিনিধিদলেও বিজিপি কর্মকর্তা ছাড়াও সে দেশের প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সম্মেলনে- মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসন, আকাশ সীমা লংঘন, আন্তরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং আন্তসীমান্ত অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ অন্যান্য মাদক ও মানব পাচার রোধ, সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত সমন্বয় সভা,পতাকা বৈঠক আয়োজন, আটক ও সাজাভোগ করা উভয় দেশের নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত মিয়ানমান নাগরিকদের তাদের মূল আবাসভূমিতে প্রত্যাবর্তন এবং বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলন শেষে ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
