১০ ডিসেম্বর সরকারের পতনের ঘোষণা আসবে কিনা প্রশ্নে যা বললেন গয়েশ্বর

 

ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপি সরকারের পতনের কোনো ঘোষণা দিতে চায় কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখনো ১০ ডিসেম্বর অনেক দূর। ১০ ডিসেম্বরই বলব। আগাম কোনো কথা কেউ বলবেন না, আমিও বলব না। আমরা ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই পরবর্তী কর্মসূচি দেব। সেদিনই তো বলব না আমাদের আন্দোলন এখানেই শেষ। আর ১০ ডিসেম্বরের আগে যদি সরকার জনগণের দাবি মেনে নেয়, সেটি তো অন্যরকম। কিন্তু তা তো আমরা প্রত্যাশা করতে পারছি না। আমরা গণসমাবেশ থেকে কী বলব— ১০ ডিসেম্বর শোনার অপেক্ষায় থাকেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গয়েশ্বর সেখানে যান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নতুন কমিটির সহসভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম বিল্টু, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।

 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহিদ জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, ভোটাধিকার ও আইনের শাসনের বিশ্বাস করতেন। আমরা দেখছি— দেশে এসব কিছুই নেই। বিচারের নামে আমরা অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছি। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই। চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে যেভাবে সাধারণ জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে, জনগণের আরও অংশগ্রহণে ভোটাধিকার অর্থাৎ জনগণই দেশের মালিক— এটি প্রতিষ্ঠাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।