যশোরে ১৪ বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার, ৪৯ জনের নামে মামলা

জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী ও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে অন্তর্ঘাত মূলক হামলা করার জন্য ককটেল/বোমা নিয়ে অবস্থানের অভিযোগে পুলিশ ১৪ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় বিএনপি ও জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার নুরপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল জব্বার, উত্তর ললিতাদাহ গামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে আমির হোসেন, একই এলাকার মৃত নজির মিয়ার ছেলে হোসেন,শাখারীগাতি গ্রামের মৃত মোদাচ্ছের সরদারের ছেলে আকবর হুসাইন, একই এলাকার মৃত রজব আলী সরদারের ছেলে শফিউল্লাহ,সদর উপজেলার জগহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার বিশ^াসের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন,রুপদিয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলাম গাজীর ছেলে হাবিবুল্লা, নরেন্দ্রপুর গ্রামের কাদের মোল্যার ছেলে রাশেদুল ইসলাম,সন্যাসগাছা গ্রামের সুলতান শেখ এর ছেলে শেখ আব্দুল জলিল ওরফে জলিল,মনিরামপুর উপজেলার মজগুনি গ্রামের বর্তমান কেশবপুর উপজেলার ইমাননগর গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে তাজামুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের ফজর আলী গাজীর ছেলে বেলাল হোসেন, একই উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন, খোপদহি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও একই উপজেলার পাঁচবাকাবর্শী গ্রামের খোরশেদ গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতদেরদ শনিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার ৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টায় মামলাটি করেন,কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী ছাড়াও রয়েছেন, সদর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের নাজমুল, মুসা,সাহাজুর,কাজিপুর পশ্চিমপাড়ার শাহাবুদ্দিন,খালিদ,রামনগরের হাসান,কামালপুর গ্রামের সাখাওয়াত, আাবু তাহের, হাবিব, রামনগরের লাদেন,ফরহাদ, এরশাদ,সিরাজসিংগা সরদারপাড়া গ্রামের জিয়াউর, রামনগর গ্রামের সারাফাত,রামনগর মোল্লাপাড়ার রমজান হোসেন, তেঘরিয়া গ্রামের ইমামুল হোসেন, চান্দুটিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কল্লোল, নারাঙ্গালী মহলদার পাড়ার শফিকুর রহমান, নারাঙ্গালী গ্রামের হাশেম রেজা,তেঘরিয়া গ্রামের সাজ্জাদুল আলম বিলু, শহিদুল আমিন, নরেন্দ্রপুরের মাওলানা ময়েজউদ্দিন, শাখারীগাতী হাফেজ তরিকুল, শফিউল্লাহ, নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাওলানা মোস্তফা, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান, আলতাফ হোসেন, গোপালপুর গ্রামের আনিসুর রহমান, রুপদিয়ার খবির খান, শাখারীগাতী গ্রামের মোস্তফা কামাল, রউচ উদ্দিন,রুপদিয়ার ইদ্রিস আলী, চাউলিয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও জিরাট গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ফয়সাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।

মামলায় এসআই মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার রাত্রীকালীন মোবাইল-১৩ ডিউটি করাকালীন মুড়োলী মোড়ে অবস্থানকালে তিনি রাত পৌনে ১২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কতিপয় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী ও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটনার উদ্দেশ্যে অর্ন্তঘাত মূলক হামলা করার জন্য ককটেল/বোমা নিয়ে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে এসআই মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে রাত ১ টা বেজে ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছালে পোষাক পরিহিত পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্ষুব্দ জামায়াত শিবিরের ও বিএনপি’র নাশকতাকারী লোকজন দিক-বিদিক ছোটাছুটি করে পালানোর চেষ্টাকালে বাদিসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত ১৪জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ সময় গ্রেফতারকৃত তাজামুল ইসলামের কাছ থেকে ৪টি ককটেল হাত বোমা সাদৃশ্য, মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৪টি ককটেল হাত বোমার সাদৃশ্য উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করেন। পরে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে। পলাকত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।