আমি আউট হবো না, মিরাজকে বলেছিলেন মুস্তাফিজ

ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই কি ট্র্যাজেডি? বারবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনা? এবার আর কষ্টে নীল হতে হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। ইতিহাস বদলে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একাই বীরদর্পে লড়াই করে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস এক জয় এনে দিলেন বাংলাদেশকে।

শেষ উইকেট জুটিতে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে গড়লেন ৪১ বলে ৫১ রানের ক্যারিশম্যাটিক এক জুটি। ১৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ৪ উইকেটে ১২৮ রান। এরপর মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। পরাজয় যেন নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর শেষ উইকেটে মহাকাব্যিক জুটি।

জয়ের জন্য তখনও বাকি ১৪ রান। আগের ওভারে শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ বাউন্ডারি মারায় নতুন ওভারে শুরু থেকেই স্ট্রাইকে মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম বল অনায়াসে ঠেকিয়ে দেওয়ার পর দৌড়ে গিয়ে বাহবা দেন মিরাজ। দুইজনের অবিশ্বাস্য জুটিতে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে এমন দৃশ্য। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই ভালো বন্ধুত্ব তাদের। কঠিনের চাপের মুখে দুইজনের বোঝাপড়া বেশ কাজে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়ের নায়ক মিরাজ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানিয়েছেন, উইকেটে গিয়ে শুরু থেকেই তাকে নির্ভার রেখেছেন মুস্তাফিজ। পরিস্থিতি যেমনই হোক, নিজের উইকেট বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ছিল বাঁহাতি এই পেসারের। যা মিরাজের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে।

মিরাজ বলেন, মুস্তাফিজ খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। সে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল, যা আমার খুব ভালো লেগেছে। সে আমাকে বারবার বলছিল- “আমাকে নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। আমি ঠেকিয়ে দিচ্ছি। আমি আউট হবো না, গায়ে বল লাগলেও সমস্যা নেই।” তার আত্মবিশ্বাস দেখে আমারও আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে।

মুস্তাফিজের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়ে নিজের পরিকল্পনা আরও ভালোভাবে সাজাতে পেরেছেন মিরাজ। নিজের উইকেট নিয়ে তার তেমন দুশ্চিন্তা ছিল না। অন্য প্রান্তে মুস্তাফিজও সাহস দেওয়ায় কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জেতা সহজ হয়েছে তার।

মিরাজ জানান, মুস্তাফিজ আমাকে সাহস দিচ্ছিল। বারবার বলছিল, আমি যেন তাকে নিয়ে টেনশন না করি। তখন আমি নিজের পরিকল্পনা সাজিয়েছি যে, কোন বোলারকে মারব, কোনদিক দিয়ে মারব। যেগুলো নাগালে পেয়েছি, সেগুলো চেষ্টা করেছি। ২-৩টা উঠে গেছে, সুযোগও দিয়েছি। তারা নিতে পারেনি। হিসেব করে ঝুঁকি নিয়ে খেললে খুব ভালো হয়।