যশোরে টাকা স্বর্ণালংকর লুটের অভিযোগে ৪ জনের নামে মামলা

সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিম পাড়াস্থ নিলামে ক্রয়কৃত ৬০ শতক জমিতে থাকা ১০ লক্ষাধিক টাকার গাছ চিহ্নিত সন্ত্রাসী কেটে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এসময় একই পরিবারের ৪ জন জখমসহ নগদ টাকা স্বর্ণালংকর লুটপাট করে শ্লীলতাহানী ঘটনোর অভিযোগে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ তাদের সহযোগী আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোরের বাঘারপাড়্ াউপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত বখতিয়ার বিশ^াসের ছেলে নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলার হামিদপুর মধ্যপাড়ার শমসের মোল্যার ছেলে নাজেম,একই এলাকার শমসের মোল্লার ছেলে নাছির ও ফতেপুর গ্রামের মফিজসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জন। পুলিশ এ ঘটনায় নাজেম মোল্লাকে বুধবার গভীর রাতে বাড়ির সামনে থেকে নাজেম মোল্লাকে গ্রেফতার করে ৭ ডিসেম্বর দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।

মামলায় নূরুল ইসলাম উল্লেখ করেন,সদর উপজেলার হামিদপুর মৌজায় তার নিলামকৃত ৬০ শতক জমি রয়েছে। উক্ত জমি ৩০ বছর যাবত ভোগ দখল করে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে যা গাছ গুরি বড় হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৮ টা হতে ৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৪ টার মধ্যে উক্ত আসামীরা জমিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমিতে প্রবেশ করে রোডিত গাছগাছালীসহ ১০লাখ টাকা মূল্যের গাছ জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বাদিসহ তার ছেলে আরমান (৪৫),বাদির স্ত্রী রুবিনা বেগম,আরমানের স্ত্রী ছন্দা,জাফরীর স্ত্রী সুমীসহ আরো অনেকে ঠেকাতে চেষ্টা করলে আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদিসহ তার পরিবারের সদ্যদের এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে আরমানের পকেটে থাকা নগদ আড়াইলাখ টাকা,ছন্দার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, ছেলের বউ সুমীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজেম মোল্যাকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করে।