যশোরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি আত্মহত্যার চেষ্টা

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় এক কলেজ ছাত্রী হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী জানান, তিনি শহরের একটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দু’বছর আগে ফেসবুকে শহরের বারান্দিপাড়া বউবাজার মাঠপাড়া এলাকার নওশের আলীর ছেলে মুরাদ হোসেনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের কথা বলে গত ৬ মাস ধরে মুরাদ হোসেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলো। ৫ ডিসেম্বর সকালে মুরাদ তাকে বিয়ে করার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আবারও শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। তখন এলাকার ছেলেরা তাদের ধরে ফেলে এবং বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা মুরাদ হোসেনের কাছ থেকে বিশহাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়। মেয়ে বাড়িতে ফিরে সকল বিষয় পরিবারকে জানায়। এ সময় পরিবারের লোকজন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুরাদের বাড়িতে গেলে ছেলের পরিবার বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এরপর থেকে ওই কলেজ ছাত্রী তার এক আত্মীয় বাসায় যেয়ে ৮ ডিসেম্বর হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতারে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার।