ভারতের ৪০৯, জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে বাংলাদেশের

সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৪১০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। ওপেনার ইশান কিষাণের ডাবল সেঞ্চুরি এবং বিরাট কোহলির শতকে টাইগারদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ভারতীয়রা। ওয়ানডে ফরম্যাটে এর আগে এত বড় লক্ষ্যের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ।

শনিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে একাদশেই থাকার কথা ছিল না কিষাণের। আগের ম্যাচে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আঙুলে চোট পাওয়ায় তার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন তরুণ এই বাঁ-হাতি ওপেনার। সুযোগ পেয়েই স্মরণীয় এক ইনিংস খেললেন তিনি। মাত্র ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া কিশান শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২১০ রান করে। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ডাবল হাঁকিয়েছেন। তিনি ২৬টি চার ও ১০টি ছক্কা তোলেন।

তিনে নামা বিরাট কোহলি ৯১ বলে ১১৩ রানের । টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরা ব্যাটার ১১ চার ও দুই ছক্কায় ওই রান তোলেন। ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ সেঞ্চুরির র্কীতি গড়েন। ছাড়িয়ে যান অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিংকে। শেষ দিকে রান তুলতে গিয়ে দ্রুত উইকেট না হারালে ভারতের রানটা আরও বড় হতো। সেটা না হলেও ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে চারশ’ ছাড়ানো স্কোর গড়লো ভারত।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান মিরাজ। নিজের প্রথম বলে এলবিডব্লিউয়ে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ শিখর ধাওয়ানকে (৩)। নিজের পরের ওভারে আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন মিরাজ। এবার শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন লিটন। ১ রানে জীবন পান তিনি।

এরপর বড় জুটি গড়ে তোলেন কিশান ও কোহলি। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর কিশান-কোহলি ১৯০ বলে ২৯০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। এর মধ্যে বেশি ভয়ংকর ছিলেন কিষাণ। ৮৫ বলে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সেটা ডাবলে শেষ করেছেন।

টানা দুই ওভারে শ্রেয়াস আয়ার ও রাহুলকে আউট করেন এবাদত। ৩ রান করে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন আয়ার, কেএল রাহুলকে (৮) বোল্ড করেন চতুর্থ ওয়ানড খেলতে নামা এবাদত। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ১৭ বলে ২০ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে চারশোর্ধ্ব সংগ্রহ এনে দেন। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজু ও মেহেদি একটি করে উইকেট নেন।