বিএনপির ঘরে গণতন্ত্র নেই: কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কোনো সংবিধান নেই ,ফখরুল কবে সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছে তার মনে নেই, সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি জানেন না।

রোববার (১১ ডিসেম্বর ) বিকেলের দিকে জেলা শহরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মাঠে মানিকগঞ্জ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের ভেতর আছে, বিএনপির ঘরে নেই গণতন্ত্র, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের বলতে চাই, তাদের দলের সম্মেলন কবে হয়েছে।

এ দলের জাম্বু-জেড মার্কা কমিটি কবে হয়েছে, কয়টা মিটিং হয়েছে। বিদেশিদের বলি তারা কেন জিজ্ঞেস করে না? তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খেলা হবে, এ লড়াই বড় কঠিন লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে, ইনশাআল্লাহ আমরা জিতবো। গতকাল (শনিবার) আকাশে মেঘ ছিলো, সব মেঘ কেটে গেছে, আতঙ্ক দূর হয়েছে, স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের ভেতর। তাদের শুধু বলবো নোংরা ভাষায় কথা বলবেন না। নোংরা ভাষা আমাদের সাইড থেকে শুরু হলে পালানোর সময় পাবেন না। আমরা যখন কথা বলি তখন বেগম খালেদা জিয়া বলি, তারা কথায় কথায় লন্ডন থেকে হাসিনা হাসিনা বলে। সেই সুরে বিএনপির নেতারা ঐ ভাষা ব্যবহার করে, কারা কারা বলছেন সব কিছুর তালিকা আছে আমাদের কাছে।

তিনি বলেন, এখনও পাঁচ মাসের রিজার্ভ আমাদের আছে আমদানি করা জন্য, যেখানে তিন মাসের রিজার্ভ থাকলেই হয়। আগে আমাদের দেশের মানুষ বাঁচাতে হবে, তার পর বড় বড় মেগা প্রকল্প পুনরায় আমরা হাতে নেবো।

জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পদায়নে বাণিজ্য করলে কপালে কষ্ট আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল সালামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সম্মানিত জাতীয় পরিষদের সদস্য জাহিদ মালেক স্বপন, সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগমসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

আগামী তিন বছরের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল সালামকে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়।