বাঘারপাড়া-অভয়নগরকে স্মার্ট উপজেলা গড়তে চান আরশাদ পারভেজ

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও সদরের বসুন্দিয়া) নিয়ে গঠিত। এ আসনের ভোটাররা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে এই আসনটি প্রার্থী পরিবর্তন হবে। আসবে নতুন মুখ। সে হিসেবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মাঠে নেমেছেন। তরুণ, মেধাবী, ব্যবসায়ী হিসেবে ইতিমধ্যে এই আসনে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে পরিচয়-পরিচিতি হয়ে সাড়া ফেলেছেন।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সাধারণ ভোটারদের অভিমত তারা সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন এবং তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত, সৎ, নম্র, ভদ্র মুখ দেখতে চান। যারা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেবেন। এজন্য মাঠেও নেমেছেন এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইঞ্জিনিয়র আরশাদ পারভেজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, পর পর তিনবার শেখ হাসিনা যেমন তার সরকার গঠনে নতুন মুখের চমক দেখিয়েছেন। তেমনি আগামী নির্বাচনী যশোর-৪ আসনে নতুন মুখ হিসেবে কাউকে দেবেন। এই আসনে নতুন কেউ বিজয়ী হলে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও বিভিন্ন কাজে আসবে গতির ধারা। সেই হিসেবে নতুনদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় প্রথম রয়েছেন তরুন, মেধাবী, দক্ষ, সৎ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়র আরশাদ পারভেজ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। আরশাদ পারভেজ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আওয়াম লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়াস কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

আরশাদ পারভেজ ছোট বেলা থেকে যেমন মেধাবী, তেমনি রাজনৈতিক সচেতন। এসএসসি পাশ করার পর যশোরের নওয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়ন করার সময় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আরশাদ পারভেজ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়াশুনা করার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। বিএনপি-জামায়ত বিরোধী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভূমিকা রাখেন বিএনপি-জামায়াত সরকার হঠানো আন্দোলনে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদপুষ্ট রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন ।
আরশাদ পারভেজ ১৯৮৩ সালের যশোরের অভয়নগরে এক স¤্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । তার পিতা মরহুম মুহাম্মদ আবু কাজেম ছিলেন জেজেআই’র একজন সৎ কর্মকর্তা ছিলেন।

আরশাদ পারভেজ সমাজ সেবক এবং শিক্ষানুরাগী, ব্যবসায়ী ও একজন ঠিকাদার।

নওয়াপাড়ার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন। বাঘারপাড়ার সামাজিক, সাংস্কৃতিক গঠনের নেত্রীস্থানীয়দের সাথে রযেছে তার সুসম্পর্ক।
সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত আরশাদ পারভেজের ভাই-বোনরা। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও ব্যবসা করছেন সুনামের সাথে।
আরশাদ পারভেজ প্রসঙ্গে কথা হয়, নওয়াপাড়া পৌরসভার গাজীপুর গ্রামের মতিউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এলাকার উন্নয়নে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রজনৈতিক ব্যক্তিকে যশোর-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। আর এসব আছে নওয়াপাড়ার সন্তান আরশাদ পারভেজের মধ্যে।
একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নতুন ও তরুণরা নেতৃত্বদেবেন। এজন্য আরশাদ পারভেজ মেধাবী, চৌকস, বুদ্ধিমান এবং আগামীদিনের নেতৃত্বে বলিষ্ঠবান। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ।

কথা হয়, বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন দেখতে চেয়েছিলাম, তা দেখতে পারিনি। বাঘারপাড়ার মানুষ আজ হতাশ। এ কারণে আমরা নতুন প্রার্থী দেখতে চায়। যিনি এলাকার মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকবে। নিয়মিত এলাকায় আসবে। মানুষের সুখ-দু:খে থাকবে তাকেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চায়।

আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়, ইঞ্জিনিয়র আরশাদ পারভেজের সাথে। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে আমি সব সময় সবার সাথে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। জননেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার সাথে থাকবো। নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। যাকে মনোনয়ন দেবে তার নির্বাচন করবো। আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করি তাহলে বাঘারপাড়া ও অভয়নগরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। এলাকায় বিনোদন ও খেলার মাঠ না থাকার কারণে যুবকেরা আজ মোবাইল নির্ভর হয়ে পড়েছে, এবিষয়টি আমাকে বেশ ভাবায়।

তাই আমার পরিকল্পনা আছে দুই উপজেলায় উপযুক্ত খেলার মাঠ তৈরি করা। যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। বিভিন্ন খেলাধূলার মাধ্যমে তাদের সংযুক্ত করা হলে তাদের মন ভালো থাকবে। নওয়াপাড়া নৌবন্দরকে আধুনিক ও ব্যবসা বান্ধন পরিবেশ গড়ে তুলে বেকার সমস্যা সমাধান করা হবে। তিনি আরো বলেন, অভয়নগরের প্রস্তাবিত ইপিজেডের কাজ চলমান রয়েছে। এটির কার্যক্রম শুরু হলে এলাকার কয়েক হাজার বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা প্রসার ঘটবে। এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। তাই আগামী দিনে দৃষ্টিনন্দন, পবিরেশ বান্ধব ও ক্লিন পরিবেশের সাথে স্মার্ট দুটি উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য তিনি সকলের কাছে ভালোবাসা, দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেন।