যশোরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃক মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

তাল বাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্বেও সেখানে অবাধে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে ফিরোজ হোসেন নামে এক গাঁজা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে না পারলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি টিম তার বাড়ি হতে গাঁজা উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফিরোজ হোসেন সদর উপজেলার তালবাড়িয়া কলেজপাড়া মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেল সূত্রে জানাগেছে, ওই সার্কেলে কর্মরত উপ-পরিদর্শক সৈয়দ নূর মোহাম্মদসহ একটি টিম সোমবার ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পান তালবাড়ীয় কলেজ পাড়া এলাকার ফিরোজ হোসেন তার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে গাঁজা বেচাকেনা করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ফিরোজ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ফিরোজ হোসেন বাড়িতে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরে ফিরোজ হোসেন খাটের তোষকের নীচ হতে ৩শ’ গ্রাম ওজনের গাঁজা উদ্ধার করে। যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক সদর উপজেলার তালবাড়িয়া কলেজপাড়া এলাকা থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন,তালবাড়িয় পুলিশ ক্যাম্প থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ অদূরে তাল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্প।

তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জ হিসেবে এসআই একরামুল হুদা, এসআই হিসেবে মতিয়ার রহমান এএসআই মোবারক হোসেন, এএসআই হেলাল উদ্দিনসহ পর্যাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্বেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যাম্প থেকে কয়েকশ’ গজ অদূরে ফিরোজ হোসেনের বাড়ি হতে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকার নারীপুরুষ ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা হতবাক হয়েছেন।

তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃক গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতারের ঘটনায় সস্তি ফিরে পেতে চলেছে। তার কারণ তালবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্যরা জেনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হলে মাদকদ্রব্য কর্তৃক তাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করায় নানান প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।