যশোরে মারপিট ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মামলা

পূর্ব শত্রুতার কারনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার ফতেপুর পূর্বপাড়া গ্রামস্থ এক বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করায় প্রতিবাদ করলে মারপিট করে গৃহবধূর গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় আদালতে নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় নারীসহ ৫ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলাটি করেন, সদর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব পাড়া) গ্রামের আবু খায়ের মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, একই গ্রামের মৃত জহুর আলী মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ওরফে গইজো, রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম ওরফে রুপালী, রবিউল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নূর জাহান বেগম।

মামলায় বাদি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা গত কয়েকদিন যাবত বাদির ছেলে মাহমুদ মারপিট করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৭ টায় আসামীরা বাদির বাড়িতে ঢুকে বাদীর ছেলের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদির ছেলে মাহমুদ (২০) আসামীদের ঘৃণ্য গালিগালাজের প্রতিবাদ করার সাথে সাথে রবিউল ইসলাম কংক্রিটের খুটি দিয়ে মাহমুদের মাথায় খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। রেজাউল ইসলাম ওরফে গইজো মাহমুদের মাথায় খুটি দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

মাহমুদ সাথে সাথে মাটিতে লুটে পড়লে অন্যান্য আসামীরা কিলঘুষি মারতে থাকে। ছেলেকে ঠেকাতে এসে মা জাহানারা বেগম রাসেল হোসেন শ্লীলতাহানীর উদ্দেশ্যে শাড়ী কাপড় ধরে টানাটানি করে খুলে ফেলে। নূর জাহান বেগম জাহানারা বেগমের গলায় থাকা ১ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার ব্যাপারে মামলা করলে জানে শেষ করে ফেলার হুমকী দিয়ে আসামীরা চলে যায়। বাদির ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মাহমুদকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে । সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়া হয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।