যশোরে মটরসাইকেল ছাড়াতে এসে ভূয়া রশিদ দেওয়ায় গ্রেফতার তিন

jessore atok map

মটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের টাকা জমার অন লাইন রশিদ সৃষ্টি করে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করায় পুলিশ চক্রের তিন সদস্যকের গ্রেফতার করেছে। বুধবার ৪ জানুয়ারী রাতে সদর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের সহযোগীতায় কোতয়ালি পুলিশ এদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে রুবেল হোসেন, একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইদ্র্রিস হোসেন ও সদর উপজেলার তফসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে সুনু। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সার্জেন্ট এইচ এস সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় সার্জেন্ট সাজ্জাদ হোসেন উল্লেখ করেন,গত ২ জানুয়ারী বিকেল ৪ টার সময় সঙ্গীয় ফোর্সসহ চাঁচড়া চেকপোষ্ট এলাকায় চেকপোষ্ট ডিউটি করাকালীন বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে বেনাপোল হতে যশোর গামী একটি রানার রেড ৮০ সিসি মটর সাইকেল রেজিষ্ট্রিবিহীন চেকপোষ্টের সামনে পৌছাইলে থামানোর সংকেত দিলে রুবেল হোসেন চেকপোষ্টের সামনে এসে মটর সাইকেলটি থামালে তাকে মটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে সে কোন বৈধ কাগজপত্র সার্জেন্টের কাছে দেখাতে পারেনি।

ফলে আটক স্লিপ দিয়ে মটর সাইকেলটি জব্দ করেন। এর পর গত ৪ জানুয়ারী বুধবার রাত ৯ টার পর ইদ্রিস হোসেন ট্রাফিক অফিসে এসে মটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের টাকা জমার অন লাইন রশিদ, শো’রুমের কাগজপত্র ও আটক রশিদ নিয়ে সার্জেন্ট সাজ্জাদ হোসেনের কাছে প্রদর্শন করে। সাজ্জাদ হোসেন অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে মটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের টাকা জমার অন লাইন রশিদ সঠিক না থাকায় ইদ্রিস হোসেনকে গাড়ীর মূল মালিককে সদর ট্রাফিক যশোর অফিসে আসার জন্য বললে ইদ্রিস আল মোবাইল ফোনে রুবেল হোসেনকে সদর ট্রাফিক অফিসে নিয়ে আসে।

রুবেল হোসেনকে গাড়ীর কাগজপত্রের কথা জানতে চাইলে সে জানায় ইদ্রিস হোসেন তাকে এই কাগজপত্র দিয়েছে। সার্জেন্টের কাছে দু’জনের কথাবার্তা সন্দেহ হলে সার্জেন্ট সাজ্জাদ হোসেন ইদ্রিস হোসেনকে মটর সাইকেলের কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায়,ি শরিফুল ইসলাম ওরফে সুনু’র দড়াটানা মোড়ে মমিন নগর মার্কেটের সুনু কম্পিউটার নামক দোকান হতে উক্ত মটর সাইকেলের কাগজপত্র বানানো হয়েছে। আসামীগন প্রতারণা মূলকভাবে বিশ^াস ভঙ্গ করেছে মর্মে সার্জেন্ট সাজ্জাদের সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তৎক্ষনিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে কোতয়ালি মডেল থানার রাত্রীকালীন মোবাইল-১৩ অফিসারকে ডেকে আসামী রুবেল হোসেন ও ইদ্রিস হোসেনকে সোপর্দ করে। পরে তাদের দেখানো মতে মমিন নগর মার্কেটে সুনু কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম ওরফে সুনুকে গ্রেফতার করে। এসময় একটি সিপিইউ,একটি মনিটর,একটি মাউস ও কি বোর্ড যার আনুমানিক মূল্য ২৫ হাজার টাকা জব্দ করেন। পরে গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার ৫ জানুয়ারী দুুপুরে আদালতে সোপর্দ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।