যশোরে আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্য আটক

jessore atok map

যশোর কোতোয়ালি ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে দুই ভরি দুই আনা দুই রতি স্বর্ণালংকারসহ আটক করেছে। একই সাথে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ গলানোর গ্যাস কিট, সোহাগা পাউডার, ও মোবাইল ফোন। আটককৃতরা হচ্ছে কুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার নালিয়ারচর গ্রামের মৃত তারা ভুইয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৩৮) ও একই জেলার কালিয়া উপজেলার বড় কালিয়া (দক্ষিন) গ্রামের মৃত গোবিন্দ স্বর্নকারের ছেলে গোলক স্বর্নকার (৫৩)।

রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা যৌথ ভাবে নড়াইল কালিয়া বাজারে পলাশ জুয়েলার্সের দোকানে অভিযান চালিয়ে দোকান মালিক গোলক স্বর্ণকারকে ডাকাতি করা স্বর্ণালংকারসহ আটক করে। গোলক স্বর্ণকার নড়াইল কালিয়া বড় কালিয়া এলাকার মৃত গোবিন্দ স্বর্ণকারের ছেলে। পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গত বছরের শেষের দিকে যশোরের সদর উপজেলার ও মণিরামপুরে পৃথক দুইটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলাও হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন আসামিকে আটকের পর তারা দুইটি ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বিকার করে। পরে তাদের একজন খুলনা তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর এলাকার মৃত তারা ভুইয়ার ছেলে গোলাম রসুলকে রোববার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে যশোর সদর উপজেলার কমল চক্রবর্তীর বাড়ী থেকে লুন্ঠিত মালামাল নড়াইলে রয়েছে বলে স্বীকার করে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ নড়াইল কালিয়া বাজারে পলাশ জুয়েলার্সের দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই সোনার সন্ধান পায়। পরে দোকান মালিক গোলক স্বর্ণকারকে ডাকাতি করা স্বর্ণসহ আটক করা হয়। সোমবার তাদের দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আটক রসুল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল রসুলের জবানবন্দি গ্রহন শেষে দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ আরও জানায়, যশোর জেলার সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন সময় এ পর্যন্ত ১৯ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।