যশোরে ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

mamla rai

যশোর হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর তিনশ’ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের মধ্যে ২১ লাখ টাকা আত্মসাত ও বিগত ২০১২ সালের ডি এইচ এম এম পরীক্ষায় ৪র্থ (চুড়ান্ত) বর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত বাংলা সনদ (সার্টিফিকেট) নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী রাতে মামলাটি করেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাক্তার মোঃ হাফিজুর রহমান। অভিুযুক্ত ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান যশোর শহরের ২৬৪ ঘোপ জেলরোড এলাকার মৃত জোহাদুর রহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা হয়।
মামলায় ডাক্তার মোঃ হাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, যশোর শহরের আরএনরোডস্থ হোমিও প্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালেল সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান ১৯৮৩ সাল হতে ০৪/১১/২০২১ ইং তারিখ পর্যন্ত অত্র কলেজে কর্মরত থাকা অবস্থায় কলেজের ফরম পুরনের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত ১০ বছর পূর্ব হতে মোট ৩শ’ জন শিক্ষার্থীর প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বছরে ১২ হাজার টাকা করে মোট ৩৬লাখ টাকা তিনি গ্রহন করেন। কিন্তু উক্ত টাকার মধ্যে ১৫লাখ টাকা কলেজের ফান্ডে জমা প্রদান করে।

বাকী ২১ লাখ টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে জমা রাখে। পরে হিসাব নিকাশ করে তার কাছে উক্ত টাকা জমা আছে বলে প্রমানিত হয়। তাছাড়া, ২০১২ সালের ডি এইচ এম এম পরীক্ষার ৪র্থ (চুড়ান্ত) বর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর চুড়ান্ত বাংলা সনদ (সার্টিফিকেট) ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান গত ৩১/০৩/২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক বোর্ড কার্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর হতে নিজে প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর করে অত্র কলেজে জমা দেওয়ার জন্য নিজ হেফাজতে গ্রহন করেন। তিনি উক্ত সার্টিফিকেট কলেজে জমা কিংবা প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছে প্রদান না করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখে দেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের চুড়ান্ত পর্বের সার্টিফিকেট না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহেল রানা, রিতা অধিকারী,ফয়সাল আকবার, সুমন কুমার পাকরাশীগন তাদের চুড়ান্ত বর্ষের প্রাপ্ত সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য বাদী (অধ্যক্ষ) বরাবর আবেদন করেন। অধ্যক্ষ কলেজের রেজিষ্ট্রার পত্র পর্যালোচনা করে জমা না হওয়ায় হোমিও প্যাথিক বোর্ড কার্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করেন।

সেখান থেকে এক স্মারকে জানান, ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান গত ৩১/০৩/২০২১ তারিখে নিজ হস্তে স্বাক্ষর করে মোট ৩৬টি সনদ (সার্টিফিকেট) বুঝে এনেছে বলে উল্লেখ করেন। এরপর বাদি নিজে মহিদুর রহমানকে টেলিফোন ও মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে তিনি কলেজের পত্র মারফত তার কাছে পত্র/ নোটিশ প্রদান করেন। তারপরও তিনি সনদগুলো কলেজে জমা কিংবা কলেজের অর্থ ফেরত না দিয়ে উল্টো বাদিকে বেশী বাড়াবাড়ি না করারজন্য হুমকী প্রদান করেন।বাদি বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসককে জানিয়ে মহিদুর রহমানের বিরুদ্ধেদ শিক্ষার্থীদের সনদ ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান গ্রেফতার হয়নি।