বদলে যেতে শুরু করেছে ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসের চিত্র।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে সেবা গ্রহীতারা ভোগান্তি শিকার হলেও ইদানিংকালে তা অনেকটাই লাঘব হয়েছে।বর্তমানে সকল কার্যক্রম অনলাইনে হাওয়াই দালালের খপ্পর থেকে রেহাই পেয়েছে সেবা গ্রহীতারা।
হাসিবুর রহমান পাপ্পু নামের এক সেবাগ্রহীতা জানান, তার ট্রাকের ফিটনেস নবায়ন করতে এসে স্বল্প সময়ে ঝামেলা মুক্ত ভাবে নিজের কাজটি করতে পেরে নিজেই অনেকটাই খুশি।অপর এক সেবা গ্রহীতা নাজমুল হোসেন জানান,আমি মোটর সাইকেলের কাগজপত্র করতে এসে আগের মতন আর হয়রানির শিকার হতে হয়নি। সুন্দরভাবে আমি কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন সরকারি দপ্তর গুলোর কার্যক্রম এভাবেই চললে মানুষকে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। ঝিনাইদহ বিআরটিএর সার্কেলের সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান বলেন,আমি ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই আমি আমার সাধ্যমত বিআরটিএর সেবাকে জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি ।প্রতিনিয়তই তিন থেকে চারশত মানুষ সেবা নিতে আসে লোকবল সংকটের কারণে অনেক সময় সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়।
কোন মানুষ সেবা নিতে এসে যেন বিআরটিএ অফিসের দালালের খপ্পরে না পড়ে এবং হয়রানির স্বীকার হতে না হয় এবিষয়ে তিনি সজাগ আছেন।প্রতিনিয়ত তিনি মানুষের সেবার মান উন্নয়নে লাইনের মাধ্যমে সুশৃংখল ভাবে দাড়িয়ে থাকা সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলেন এবং সমস্যা হলেই তা সমাধানের চেষ্টা করেন। আরো বলেন প্রতিমাসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য দশটি বোর্ড বসে সেই বোর্ডে দেড়শ থেকে দুইশত মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং দিনের দিন তা ফল প্রকাশ ও ফিঙ্গারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,বিআরটিএ অফিসের সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন মালিকানা বদলি, ফিটনেস, রুট পারমিট,ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। এ সকল ক্ষেত্রে বর্তমানে সরকার কিছুটা ফি বৃদ্ধি করলেও মানুষ হয়রানি মুক্তভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পেরে স্বাচ্ছন্ধ বোধ করছে। বর্তমানে অনলাইনে ৮০% পার্সেন্ট কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে ভবিষ্যতে ১০০% পার্সেন্ট কাজ সম্পন্ন হলে ভোগান্তির স্বীকার থেকে রেহাই পাবে জেলার সেবাগ্রহণকারী সাধারণ মানুষ।