১৮ বছরেও বিচার হয়নি সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন তিনি। ওই হামলায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদাসহ প্রাণ হারান আরও তিনজন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ম্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। তবে ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।

এদিকে শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। এ ছাড়া ঢাকার বনানীতে অবস্থিত তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা।

শুরু থেকেই মামলার স্বাভাবিক তদন্ত না হয়ে দলীয় বিবেচনায় পরিচালিত হতে থাকে। তিন দফা চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়ার পর মামলা দুটি বর্তমানে সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সাক্ষীদের উপস্থিতি না থাকায় থমকে আছে বিচারকাজ। উভয় মামলায় ১৭১ জন সাক্ষী থাকলেও হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৪৭ জন এবং বিস্ম্ফোরক আইনের মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বাবার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। সেই বিচার এতদিনেও হয়নি। বর্তমান সরকার থাকাকালে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আশাও করি না। আমরা বিচারের জন্য ১৮ বছর অপেক্ষা করেছি, হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করব।

শাহ এএমএস কিবরিয়া কর্মজীবনে পররাষ্ট্র সচিব, এসকাপের নির্বাহী সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করার পর ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী।