বিএনপি অশুভ চক্রান্ত করছে : হানিফ

mahabubul alam hanif
ফাইল ছবি

নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই তাই বিএনপি অশুভ চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়ন, অগ্রগতির সরকার। বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার, নেতিবাচক সমালোচনা করে সরকারের উন্নয়নের বিরোধিতা করছেন। সরকারের বিরোধিতা করা মানে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের বিরোধিতা করা।
বিএনপি আন্দোলনের নামে নাটক করছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এতো নাটক কি কারণে করছে? কোন লক্ষ্য নিয়ে করছে? বিএনপি নেতারা বলে, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কোথায় গেছে? প্রতিদিন সভা, সমাবেশ, মিছিল করেন। টেলিভিশনে টকশোতে মিথ্যাচার, বিষদাগার করেন। গণতন্ত্রে সংজ্ঞা কি আগে পড়ে আসেন, তারপর কথা বলেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থেকে বিএনপি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, আপনারা দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছিলেন। তারেক রহমান হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের ভেতর আরেক সরকার প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি আর মানুষ হত্যা ছাড়া বিএনপির কোনো অর্জন নেই। ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট আর প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের হত্যা ছাড়া তাদের আর কোনো অর্জন নেই।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচন, জনপ্রিয়তার কথা বলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তার প্রমাণ করুন। আন্দোলন, পদযাত্রা করা লাগবে না।

তিনি বলেন, গতকাল ৬টি আসনে উপ-নির্বাচন সফলভাবে শেষ করার মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব প্রমাণ করেছে। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে সামান্য ত্রুটি তাদের চোখে পড়েছিল, নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলেন। তখন আমরা তাদের এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করিনি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নির্বাচন বাতিল করার তাদের সেই সক্ষমতা আছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো দিন বাস্তবায়ন হবে না। সেটা নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন।

দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ২০১৩-১৪ সালে দেখেছে। মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে আন্দোলনের নামে সহিংসতা দেখেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি পুড়িয়ে ধ্বংস করেছেন। আন্দোলনের নামে আর কোনো সহিংসতা করলে জনগণ বরদাশত করবে না।

বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেয়ার জন্য দেশের মানুষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা-কমী মাঠে আছে- বলেন তিনি।

শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।