যশোরে পূর্বশত্রুতার কারণে মারপিটের ঘটনায় মামলা

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীরা গহবধূ মোছাঃ আলেয়া বেগম (৪০ ) কে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট করার খবর পেয়ে শিশু ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (১৬) উদ্ধার করতে গেলে তাকে ধারারো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় গৃহবধূর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে পরনের কাপড় চোপড় টেনে শ্লীলতাহানী ঘটানোর অভিযোগে তিন সহোদরের বিরুুেদ্ধ কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার রামনগর মোল্যাপাড়ার মৃত আফসার মোড়লের ছেলে মহিদুল ইসলাম। মামলায় আসামী করেছেন,প্রতিবেশী নিছলার ছেলে ফুরায়,সহোদর আসলাম ও হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ নিয়মিত মামলায় আসলামকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছে।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,আসামীদের বাড়ি ও বাদির বাড়ি পাশাপাশি। আসামীদের সাথে বাদির পূর্ব হতে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আসামীগণ পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদি ও তার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকী ধামকী প্রদান করে আসছে। গত ১ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৭ টায় বাদির স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া বেগমেকে ফুরায় ডেকে তাদের বসত বাড়িতে নিয়ে যায়। বাদির স্ত্রী সরল বিশ^াসে আসামীদের বাড়িতে গেলে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আসামীগন এক যোগে দেশীয় অস্ত্র্র্র্র্র্র্র্রশস্ত্র নিয়ে বাদির স্ত্রীকে মারপিট করে জখম করে।

এক পর্যায় বাদির স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া বেগম প্রাণে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে বাদির ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মায়ের চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে মাকে রক্ষার করতে গেলে ফুরায় ধারালো দা দিয়ে শিশু জাহাঙ্গীর হোসেনের মাথায় স্বজোরে কোপন করে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। বাদির স্ত্রী নিজেকে রক্ষা করতে গেলে আসলাম পরনের কাপড় চোপর টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায় তাদের সহোদর হোসেন বাদীর কানে থাকা ৮ আনা স্বর্ণের দুল টান দিয়ে ছিড়ে নেয়।

এক পর্যায় বাদির ছেলে ও স্ত্রী ডাক চিৎকার দিলে আশপাশ হতে লোকজন এগিয়ে এসে আসামীরা বাদি ও তার পরিবারের লোকজনকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন বাদীর স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে উদ্ধার করে যশোনর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলঅ হয়েছে। রাতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মামলার দুই নং আসামী আসলামকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।