তুরস্কে উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, থাকবেন ফায়ারের ১২ জন

ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ওই দলে যোগ দেওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ জনকে মনোনীত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

আজ বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে যাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে তারা হলেন-

১. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগে কর্মরত উপপরিচালক দিনমনি শর্মা,

২. টাঙ্গাইলে কর্মরত সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন,

৩. যশোরে কর্মরত সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ,

৪. ঢাকার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে কর্মরত ফয়সালুর রহমান,

৫. ফেনীতে কর্মরত সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকের হোসেন,

৬. ঢাকায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্মরত লিডার মো. আবুল কালাম আজাদ,

৭. নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কর্মরত ফায়ারফাইটার সহদেব সাহা,

৮. টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কর্মরত ফায়ারফাইটার আসিফ খান,

৯. ঢাকার লালবাগে কর্মরত ফায়ারফাইটার মো. রুমান রাজন,

১০. রংপুরে কর্মরত ফায়ারফাইটার রোকনুজ্জামান,

১১. বগুড়ার দুপচাচিয়ায় কর্মরত ফায়ারফাইটার কাব্য কুমার ও

১২. চট্টগ্রামের নন্দনকাননে কর্মরত ফায়ারফাইটার মো. সুজন আলী।

গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

তুরস্ক ও সিরিয়া— দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে বিভিন্ন ভবন ধ্বংসের চিত্র দেখা যায়। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রচুর মানুষকে খুঁজে পাচ্ছেন।

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ তাদের পাশে আছে।’

তুরস্কের এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের নানা দেশ। বিশেষজ্ঞ দল ও নানা সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ।