ভারত-বাংলাদেশের ৯০ শিল্পীর শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে চিত্র প্রদর্শনীতে

যশোরে শুরু হয়েছে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের তৃতীয় আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী ও শিল্প শিবির। প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রাচ্য গ্যালারিতে চারদিন ধরে চলবে এ প্রদর্শনী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘মৈত্রী চিত্রভাষ’ নামের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সম্ভাবনাময় তরুণ শিল্পী অকালপ্রয়াত সোহেল প্রাণনের মা সালেহা বেগম। আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীটি শিল্পী সোহেল প্রাণনের নামেই উৎসর্গ করা হয়েছে।
প্রাচ্য অডিরোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ কলকাতার সহ-সম্পাদক ড. শান্তনু সেনগুপ্ত, ইউল্যাবের অধ্যাপক শিল্পী এএফএম শিপু মনিরুজ্জামান প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর দুই দেশের শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপরই প্রধান অতিথি সালেহা বেগম ফিতে কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রথমদিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। আয়োজকরা জানান, আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীতে ভারতের ৬০ ও বাংলাদেশের ৩০ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

প্রদর্শনীর প্রধান আয়োজক সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ কলকাতার সহসম্পাদক ড. শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের যশোরে এটা তাদের তৃতীয় আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী। এ ধরণের আয়োজন দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে ভাব, অভিজ্ঞতা ও চিন্তার আদান-প্রদান ঘটায়। যা পরর্বীতে উভয়দেশের শিল্পীদের শিল্পকর্মে প্রতিফলিত হয়।

‘মৈত্রী চিত্রভাষ’-এর স্থানীয় আয়োজক প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান বলেন, সাধারণত এ ধরণের আয়োজন রাজধানীকেন্দ্রীক হয়ে থাকে, যেখানে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতেও ইতস্তত করেন। রাজধানী থেকে অনেক দূরে সাধারণ মানুষের কাছে আমরা এরকম বড় আয়োজন নিয়ে এসেছি। দক্ষিণ এশিয়া, প্রাচ্য, দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর শিল্পীদের সাথেও আমাদের এ ধরণের আরও প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।