যশোরে গৃহবধুকে পাচারের অভিযোগে মামলা

অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহবধুকে পতিতা বৃত্তি ও যৌন হয়রানির জন্য অধিক লোভে পাচারের অপরাধে আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ঘাটকুল গ্রামের আঃ হামিদের ছেলে তহিদুল ইসলাম ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মানব পাচার ও দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় অভয়নগর উপজেলার সমসপুর গ্রামের মৃত জিনিতুল্লাহ মোল্লার ছেলে বর্তমানে সদরের বসুন্দিয়া বেনেরগাতি গ্রামের মাসুম ডাক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মতিয়ার রহমানকে (৫৮) আসামি করা হয়।

মামলায় তহিদুল ইসলাম বলেন, আসামি দীঘদিন বিদেশে লোক পাঠায় ও মানব পাচার ব্যবসার সাথে জড়িত। বাদি তহিদুল ইসলামের স্ত্রী ভিকটিম শাহানাজ বেগমের চাচাতো মামার মাধ্যমে আসামি মতিয়ার রহমানের সাথে পরিচয় হয়। বাদি ও তার স্ত্রী বিদেশ যেতে চাইলে কুয়েতে গাল ফোর্স কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকুরি দিতে আসামি মতিয়ার রাজি হয়। দুজনকে কুয়েত নিয়ে যেতে ১১ লাখ টাকা চুক্তি হয়। বাদি ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে আসামিকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদান করে।

শর্ত থাকে বাদি তহিদ ও তার স্ত্রী শাহানাজকে একসাথে কুয়েত নিয়ে যাবে। কিন্তু আসামি বাদি তহিদকে বলে ভিকটিম শাহানাজের ভিসা এসেছে শাহানাজকে আগে নিয়ে যাবে। পরে বাদি তহিদকে নিযে যাবে। ১৪ নভেম্বর সকালে আসামি মতিয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে ভিকটিম শাহানাজকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পরিবহন যোগে ঢাকায় নিয়ে যায়।

পরের দিন ১৫ নভেম্বর আসামি ভিকটিমকে কুয়েতে গাল ফোর্স কোম্পানিতে চাকুরি দেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আসামি প্রতারনা করে কুয়েতে না নিয়ে সৌদি আরবে নিযে যায়। আসামি মতিয়ার ভিকটিম শাহানাজকে যৌন নিপীড়ন বা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে কৌশলে ফুসলিয়ে অপহরন করে সৌদি আরব নিয়ে বিক্রি করে দেয়। বাদি আসামির নিকট ফোন দিলে আসামি বলে নিরাপদে কুয়েতে পৌছিয়েছে। ১৫ দিন পর ভিকটিম শাহানাজকে মোবাইলে না পেয়ে বাদি চিন্তিত হয়ে পড়ে।

বাদি আসামির নিকট ফোন দিলে বলে ভিকটিম ভালো আছে। দীর্ঘ এক মাস পর ভিকটিম শাহানাজ ইমোতে ফোন দিয়ে বাদির নিকট কান্নাকাটি করে বলে আসামি তাকে কুয়েতে না নিয়ে সৌদি আরবে বিক্রি করে দিয়েছে। ভিকটিত বর্তমানে যৌন হয়রানির শিকার। তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে বলে। বাদি আসামিকে ফোন দিলে ফোন ধরে না। আসামি ভিকটিমকে পাচার করে যৌন হয়রানি করেছে। বাদি আসামিকে পেয়ে ভিকটিমকে আনার কথা জিজ্ঞাসা ও টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে ও ভিকটিমকে আনতে পারবে না বলে জানায়। একই সাথে উল্টো বাদির নামে মামলা করার হুমকি দেয়।