সন্ত্রাসী শামীমের হামলায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ইউপি চেয়ারম্যান

যশোর চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের হত্যার উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদে হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী শামীম রেজা ওরফে গালকাটা শামীমের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন হামলা চালায় বলে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম অভিযোগ করেছেন। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ অভিযোগটি করেন। তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জানান, গত ৩০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের নির্দেশে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার নব-গঠিত চৌগাছা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন। ওই কমিটির একাধিক নেতার নামে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক মামলাও রয়েছে। বহুল বিতর্কিত হওয়ায় কমিটি মূলত বিলুপ্ত করা হয়েছে। ওই কমিটিতে তাকে সভাপতি করা হয়েছিলো। তার কারণে কমিটিটি বিলুপ্ত হয়েছে এই অভিযোগ এনে তার ওপর হামলাটি হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে জরুরীভাবে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

কম্পিউটার রুমে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন সেই সময় শামীম রেজার নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী প্রাইভেটকারে তার অফিসের সামনে আসে। তার গ্রাম পুলিশ শাহিদা বেগম বিষয়টি বুঝতে পেরে তার রুমে তালা মেরে দেয়। সন্ত্রাসীরা তাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে চলে যায়। রুমের মধ্যে থেকে বিষয়টি তিনি ওসি সাহেবকে অবগত করেন। তারপর রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু সেটি এখনো নথিভুক্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন, ইউপি সদস্য ইউনুস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান, শফিকুল ইসলাম, হাসান আলী ও তরিকুল ইসলাম।