শনিবার সন্ধ্যারাতে সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর ময়লা খানা পাম্পের সামনে থেকে সোহান (২৫) নামে এক যুবককে গতিরোধ করে জোরপূর্বক ঝুমঝুমপুর গ্রামস্থ আদর্শপাড়া গ্রামের জনৈক পাপ্পার মেহগুনি বাগানের মধ্যে নিয়ে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে মামলাটি করেন, সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর গ্রামের মৃত মোজাফফরের ছেলে আহত সোহানের পিতা চায়ের দোকান্দার সালাউদ্দিন। মামলায় ৬ আসামীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন উল্লেখ করেছেন। এরা হচ্ছে,যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার ঝিলেনের ছেলে আকাশ, ঝুমঝুমপুরের সাইদের ছেলে শাওন, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার তোফায়েল, সাইদ, শাহিন,ঝুমঝুমপুরের বাদশার ছেলে ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন। পুলিশ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের সাইদুল ইসলাম ওরফে সাইদের ছেলে নুর নবী ওরফে শাওনকে গ্রেফতার করে রোববার ২৬ ফেব্রুয়ারী আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় সালাউদ্দিন উল্লেখ করেন, তার ছেলে সোহান গাড়ীর ট্রান্সপোর্টের পাশাপাশি পিতার নিজের দোকানের ব্যবসা দেখাশোনা করতো। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ৮ টার পরপর সোহান বাড়ি হতে ঝুমঝুমপুর ময়লা খানা পাম্পের সামনে পৌছালে উল্লেখিত সকল আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদির ছেলের পথরোধ করে। রাত ৮.২৫ মিনিটে ঝুমঝুমপুর গ্রামস্থ আদর্শপাড়া গ্রামের জনৈক পাপ্পার মেহগুনী বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেকানে নিয়ে যাওয়ার পর সোহানকে কোন কথাবার্তা না বলে আকাশ ধারালো চাকু দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে সোহানের পিঠের ডান পাশে কোপ করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আকাশের হুকুমে সাইদ ও শাহিন ধরে রাখে শাওন ধারালো চাকু দিয়ে সোহানের ডান পাজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত মারাত্মক জখম করে। ইব্রাহিম চাকু দিয়ে আঘাত করে। সাইদ সোহানের কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এক পর্যায় বাদির ছেলে প্রান বাঁচাতে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা সোহানকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন সোহানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর গভীর রাত আড়াইটার পর পুলিশ শাওনকে তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করে। তাকে রোববার ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।
