কালীগঞ্জে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের ভার্ষ্য এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার আনুমানিক দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তারা মারা যান।নিহতরা হলেন-কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া এলাকার ভাংগাড়ি ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর খাঁ (৩৬), রিকসা চালক বিপুল দাস (৪৫) ও মধুগঞ্জ বাজার ঢাকালে পাড়ার খোকন হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন (২৬)।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে স্পিরিট বিক্রেতা শহরের মেইন বাসষ্টান্ডের রেজা হোমিও হলের মালিক রেজাউল ইসলাম ঘটনার রাত থেকেই পলাতক রয়েছে।শুক্রবার সকালে তার হোমিও দোকান ও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

পুুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে শহরের নদীপাড়া ও ঢাকালেপাড়া এলাকার একাধিক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পাওয় যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর সত্যতা মেলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, সকালে একাধিক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর শুনে তিনি নিহতদের বাড়ীতে যান। এ সময় সাংবাদিকগন মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে বলেন, তিনি লোকমুখে শুনেছেন বৃহস্পতিবার নিহতরা বিষাক্ত স্পিরিট পান করেছিল।রাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিভিন্ন হাসপাতালে নেবার পর তাদের মৃত্যু হয়। তিনি এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষী ব্যাক্তির শাস্তির দাবী জানান।নিহত জাহাঙ্গীর খাঁর ছোট ভাই আলমগীর খা জানায়, রাতে তার ভাই অসুস্থ্য হলে তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন শরির ঘামছে।তার কিছু সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয়।অপরজন বিপুল দাসের পুত্র লেগুনা চালক সজিব জানায়, রাতে তার পিতা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়া হলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে হাসপাতালে নেবার পর তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে ঢাকালে পাড়ার রাজীবকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পর মৃত্যু হয়। নিহত ৩ জনের পরিবারের সদস্যরা বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা অস্বিকার করেছেন। নিহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার এস আই সেকেন্দার আলী জানান, এ পর্ষন্ত ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে স্থানীয়দের মুখে বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর কথা শুনলেও ময়না তদন্ত ছাড়া সঠিক কারন নিশ্চিত হওয়া যাবেনা বলেও জানান।বর্তমানে প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা ও সেবন নিয়মিতভাবে চললেও এইসব মাদকসেবী ও কারবারিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোনো ব্যাবস্থা। এরুপ পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে।