সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিট

high-court

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আবেদনকারী হয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান আবেদনকারী আইনজীবী এমএ আজিজ খান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রিটটি আদালতে দাখিল করা হবে। আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে যোগ্য এবং একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসির প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের যুক্তি সম্পর্কে আইনজীবী এমএ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারার পাশাপাশি সংবিধানের ১১৯ (১) (ক) অনুচ্ছেদ একসঙ্গে পড়তে হবে। অনুচ্ছেদটিতে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ৯ ধারা অনুসারে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। যাচাই-বাছাই শেষে ইসি রাষ্ট্রপতি পদে তার মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য করে। ইসি বলেছে, ‘নির্বাচিত’, ‘নিয়োগ’ নয়, যা আইনের ভুল ব্যাখ্যা। ‘নিয়োগ’ ও ‘নির্বাচিত’ সমার্থক শব্দ। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।