বিএনপিকে ধবংস করতে মাইনাস টু থিওরি: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়ার জন্য তারা মাইনাস টু থিওরি ও বিরাজনীতিকরণের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছিল। সরকার ফের গ্রেপ্তারের ‘পুরোনো খেলা’ শুরু করেছে। এখন ওরা নতুন নতুন বানোয়াট মামলা দিচ্ছে। গত রোববার রাতে বনানী ক্লাবে একটা সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীপুর বিএনপি প্রায় ৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, কী পরিমাণ স্বৈরাচারী মানসিকতা হলে এটা সরকার করতে পারে? কিন্তু এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। এইসব ষড়যন্ত্র জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে ধরা পড়ে গেছে। তাদেরকে অনতিবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১/১১ ছিল বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। গায়ের জোরে অসাংবিধানিক সরকার ছিল সেটি। বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়ার জন্য তারা মাইনাস টু থিওরি ও বিরাজনীতিকরণের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছিল। মাইনাস টু তারা বুঝাতে অনেকে মনে করেন- শেখ হাসিনার নাম আছে। কিন্তু আসলে তা না। মাইনাস টু ছিল মাইনাস খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর বিরাজনীতিকরণের অর্থ ছিল বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়া। সেই সময়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাহসের সঙ্গে সংগঠনের হাল ধরেছিলেন। খোন্দকার দেলোয়ার বিএনপির দুঃসময়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীরা সবসময় তাকে স্মরণ রাখবে।

কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, খোন্দকার আবদুল হামিদ পবন এবং মেয়ে ডা. দেলোয়ারা হোসেন পান্না বক্তব্য রাখেন।