রাশিয়া-ইউক্রেনের তীব্র ড্রোনযুদ্ধ

কয়েকদিন আগেও ইরানের ড্রোনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে দেশে দেশে। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল- ইরানের দেয়া ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা থামাতে হবে। সম্প্রতি ইউক্রেনও ড্রোন হামলা শুরু করায় যুদ্ধ রূপ নিয়েছে ‘ড্রোনাড্রোনিতে’। ২০২২ সালের শেষ দিকে ইউক্রেনে নিয়মিত দেখা যেতো এমন দৃশ্য।

নিয়মিত বিরতিতে মৃত্যুদূত হয়ে উড়ে আসতো রাশিয়ার পাঠানো ড্রোন। সেই ড্রোনের ফেলা বোমায় ধসে পড়তো ভবন, মৃত্যু হতো অনেকের। ড্রোনের বিরুদ্ধে লড়াই এভাবে বন্দুক দিয়েই করতেন ইউক্রেনের সৈন্যরা।

দূর আকাশে কিছু দেখা গেলেই এভাবে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি ছুঁড়তেন তারা। ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের সৈন্যরা গুলি করে কমপক্ষে ২২০টি ড্রোন ধ্বংস করে। তারপরও অবশ্য ড্রোন হামলার ভয়াবহতা কমানো যাচ্ছিল না।

তবে সাম্প্রতিক সময়ের দৃশ্যপট পাল্টেছে, ইউক্রেন এখন আর শুধু ড্রোন-হামলা ঠেকিয়েই অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে না। ইউক্রেনীয় সৈন্যরাও ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সৈন্যদের ওপর। শুধু হামলা চালালেই তো হবে না, প্রতিরক্ষের হামলা নস্যাৎও করতে হবে। কিয়েভের আকাশে সার্চ লাইটের আলো ফেলে তা-ই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের সৈন্যরা।
আলোয় রাশিয়ার কোনো ড্রোন দেখা গেলেই গুলি চালান তারা।

সূ্ত্র : ডয়চে ভেলে।