জোড়া সম্মান পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রখ্যাত সমাজসেবী লুৎফল হক

ইতিমধ্যে তিনি খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এবার এই মানুুষটির মুকুটে যুক্ত হলো আরো একটি নতুন পালক। একসাথে দু- দুটি জোড়া সম্মান পেলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’ এর পক্ষ থেকে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি তাকে বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির আয়োজনে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জনাব লুৎফল হকের হাতে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী ও ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মালয়েশিয়ার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জনাব ডক্টর মাজলি মালিক।

প্রসঙ্গত জনাব লুৎফল হক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাথর খনিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। দিনমজুর হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করলেও তার চোখ জুড়ে ছিলো বিশাল স্বপ্ন। লুৎফল হক স্বপ্ন দেখতেন জীবনে একদিন সফল হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম ও দীর্ঘ অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন গোটা ভারত জুড়ে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং পিছন ফিরে না তাকানোর অভ্যাসের জোরে, লুৎফল হক শুধু ঝাড়খণ্ডেই নয়, তার বাণিজ্যিক সাফল্য ও মানব সেবার কথা ঝাড়খণ্ডের বাইরে অন্যান্য রাজ্যতেও বহুচর্চিত বিষয়। বিদেশের মাটিতে এই প্রথম ড. মাজলি মালিক লুৎফল হকের মানবসেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. মালিক বলেন, জনাব লুৎফল হক জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তিনি শৈশবে কৈশোরে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন বড় মাপের সফল ব্যবসায়ী। কিন্তু তিনি শৈশবের দারিদ্রতার কথা ভুলে যাননি। তাই তিনি হাজার হাজার গরীব ও দুস্থ মানুষদের সেবায় আজও নিয়োজিত রয়েছেন। জনাব মালিক আরো বলেন, লুৎফল হকের সমাজসেবা অজস্র মানুষের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে, অনেক মানুষ অনুপ্রাণিত হবে। এসময় কমনওয়েল ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড. রিপু রঞ্জন সিনহাও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও জনাব লুৎফল হকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ ভারতের বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে লুৎফল হককে মুম্বাইতে অল ইন্ডিয়া জার্নালিস্ট প্রোটেকশন কমিটি কর্তৃক সমাজসেবার ক্ষেত্রে সম্মানিত করা হয়েছিলেন, যেখানে তার সমাজসেবার কথা মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া গত মাস দুয়েক পূর্বে কোলকাতায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লুৎফল হককে সমাজসেবার ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ কাজের জন্য বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই মহার্ঘ্য সম্মানটি তুলে দেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এদিনের মালেশিয়ার মাটিতে লুৎফল হক সাহেবের দু- দুটি পুরস্কার প্রাপ্তিতে গোটা ঝাড়খন্ড ও বাংলা জুড়ে প্রশংসার বন্যা বইছে। সমাজের বহু গুণীজন লুৎফল হকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা হলেন ভারতীয় ‘দৈনিক জয় বাংলা’ পত্রিকার বাংলাদেশ ব্যুরোর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট কাজী নূর, নন্দিনী নূর প্রমুখ। জানতে চাইলে লুৎফল হক তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, আমি শৈশবে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছি, খুব কাছ থেকে দারিদ্রতাকে দেখেছি। আজ আমি ব্যবসায়ী হিসেবে সফল হয়েছি, তাই গরিব মানুষকে আমি ভুলিনি। লুৎফল বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাব।।