যশোরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, আটক-৩

প্রকাশ্যে উপশহর শিক্ষাবোর্ডের সামনে থেকে যশোর পলিটেকনিক কলেজের রিহাদুল ইসলাম রাব্বি (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে গতিরোধ করে রিক্সাযোগে অপহরণ করে মুক্তিপণ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে নগদ ২১শ’ টাকা কেড়ে নিয়েছে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ৩ অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এরা হচ্ছে,যশোর শহরের বারান্দীপাড়া মোল্যাপাড়ার সুলতানের ছেলে স¤্রাট খান,ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মাঝদিয়া গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলার দাদা আব্দুর সাত্তারের বাড়িতে থাকে মৃত আব্দুল জব্বার নান্নুর ছেলে মেহেদী হাসান ও যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের বেপারীতলার বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা বুলু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত রাজ্জাকের ছেলে হাসান।

এসময় তাদের সহযোগী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া (ইমান আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ফজলুল করিমের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে হাসান পালিয়ে যায়। অপহরনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ রাতে অপহরনের শিকার বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার উত্তর সরালিয়া ওয়ার্ড নং ৩ এর বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার নিউ মার্কেট,কাজী ভবনের ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলামের ছেলে রিহাদুল ইসলাম রাব্বি।

মামলায় রাব্বি বলেন, সে যশোর পলিটেকনিক কলেজে পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ে ১ম বর্ষে লেখাপড়া করেন। গত বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ দুপুর দেড়টায় রাব্বি তার কলেজ ছুটির পর সে ও তার বন্ধু ঝালোকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্তমানে উপশহর কাজী ভবনের ভাড়াটিয়া শাহাজান খানের ছেলে রিমন খানসহ মেসে যাওয়ার জন্য পায়ে হেটে রওয়ানা করেন। দুপুর ২ টার সময় যশোর শিক্ষাবোর্ড অফিসের মেইন গেটের পূর্ব পাশের্^ পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা একটি রিক্সাযোগে তাদের দু’জনের সামনে এসে রিক্সাটি থামায় এবং কোন কথা বার্তা না বলে বাদিকে রিক্সায় জোর পূর্বক তুলে অপহরণ করে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘুরুলিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের পাশে নিয়ে যায়।

স¤্রাট বাদিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। বাদির বাড়িতে তার বাবার মোবাইল নাম্বারে বাদির মোবাইল দিয়ে ফোন করে আসামীরা ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী রিহাদুল ইসলাম রাব্বি আসামীদের কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করে মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে মেহেদী হাসান বাদির গলা চেপে ধরে এবং বিভিন্ন ধরনের খুন জখমের হুমকী ধামকী দিতে থাকে বাদির মোবাইল নাম্বারের সংযোগ কেটে দেয়। এ সময় রাব্বির কাছে থাকা নগদ ২ হাজার ১শ’ টাকা মেহেদী হাসান চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নেয়।

এক পর্যায় সকল আসামীরা রাব্বিকে এলোপাতাড়ী চড় থাপ্পড়, কিলঘুষি মারতে থাকলে বাদি প্রান বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে আশপাশ হতে স্থানীয় লোকজন এসে উল্লেখিত তিনজন আসামীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। মেহেদী হাসান ওরফে হাসান কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আসামীদের গণধোলাই দিয়ে তালবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে সন্ধ্যা ৭ টার পর তালবাড়ীয়া পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আসামীদের হেফাজতে গ্রহন করেন। শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।