সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ‘অল আউট’ আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। তারা সরকারকে আর সময় দিতে চায় না। এজন্য গতানুগতিক কর্মসূচি না দিয়ে রোডমার্চ, লংমার্চের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছে। সব শেষে ঢাকামুখী কর্মসূচি, অর্থাং ঢাকা ঘেরাও ও গণভবন বা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিতে চায়।
রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকে রোববার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
এদিন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বিএনপি নেতারা বিকাল ৪টা থেকে ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন। পরে বিকাল ৫টা থেকে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে ১ ঘণ্টার বৈঠক হয়। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিএনপি নেতারা আরও বলেছেন, সময় বেশি নেই। জুনের পর এইচএসসি পরীক্ষা ও বর্ষাকাল। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। তাই কুরবানি ঈদের আগেই দাবি আদায়ে যা যা করার দরকার তাই করা হবে। জনগণের প্রত্যাশার বিচ্যুতি হলে তাদের থেকে বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলেও বৈঠকে জানান বিএনপি নেতারা।
১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম যুগান্তরকে বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলনে জন্য করণীয় বিষয়ে জোট নেতাদের পরামর্শ নিয়েছে বিএনপি। সরকারকে আর সময় দেওয়া হবে না। তাই শিগগিরই চূড়ান্ত কর্মসূচি আসবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থেকেই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিজয় লাভ করব।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এ সরকারকে বিদায় করার জন্য চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।