পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আমদানি করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলি বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কনিগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

সাক্ষাৎকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অল্পকিছু দিনের ব্যবধানে অনেক বেড়েছে। দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমদানি করা হবে।

তেলের মূল্য কমানো হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তেলের মূল্য মূলত বৃদ্ধি পেয়েছে ভ্যাট প্রত্যাহারের কারণে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলাম শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য। কিন্তু তারা তা করেনি, যার জন্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবার চিঠি দেবো। সামনে বাজেট আছে, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের বাজারে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ দশকের অংশীদারত্ব উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ইইউর সঙ্গে বর্তমানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারত্ব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মোট বিশ্ব রপ্তানির অর্ধেকের বেশি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে যায়।

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহযোগিতা কামনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পণ্য বৈচিত্র্য, পণ্যের গুণমান উন্নয়ন, সার্কুলার অর্থনীতি, জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বাণিজ্য আলোচনার জন্য বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মান ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ইইউ পাশে থাকবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

টিপু মুনশি জানান, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে নয়টি এবং শীর্ষ একশটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও ৫৫০টি কারখানা LEED সার্টিফিকেশন পাওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল দ্বারা প্রত্যায়িত ১৯২টি গ্রিন গার্মেন্টস কারখানাও রয়েছে বাংলাদেশে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে টেকসই কমপ্যাক্ট সম্পন্ন করেছে এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডে কেয়ার ইত্যাদির মতো সামাজিক সম্মতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলেও জানান।