ঘূর্ণিঝড় মোকা: পেছাতে পারে রোববারের এসএসসি পরীক্ষা

jsc jdc student
ফাইল ছবি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। দেশজুড়ে চলছে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কিত। ঝড়ের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনে আগামী রোববারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। যদিও এখনও এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরীক্ষা সূচি অনুসারে, আগামী রোববার সকাল ১০টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। আর পরদিন সোমবার রয়েছে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস ঠিক থাকলে শনিবার রাত থেকেই ঝড়ের প্রভাব পড়বে উপকূলীয় এলাকায়। সে ক্ষেত্রে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত এ পরীক্ষার কি হবে– তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনার শেষ নেই।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা স্থগিত করা হলে তা সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, মোকার কারণে রোববারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হলেও তা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না। কারণ, এখন বোর্ডগুলোর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভিন্ন ভিন্ন। তাই স্থগিত করা হলে তো চট্টগ্রাম, যশোর ও বরিশাল বোর্ডের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে কোনো কিছুই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

গতকাল বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩ চলমান। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের উপকূল অঞ্চলসহ সারাদেশে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সতর্কতামূলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।

বোর্ডগুলোর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা চলমান থাকায় বোর্ডগুলোকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রক্ষিত পরীক্ষা-সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালপত্র নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য স্ব-স্ব বোর্ডের নির্দেশনা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।