জিতলে মা প্রশাসনিক প্রধান হবেন, আমি থাকব সহযোগিতায়: জাহাঙ্গীর

আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে মনোনয়নপত্র ফরম জমা দিলেও প্রার্থিতা টেকেনি মো. জাহাঙ্গীর আলমের। উপরন্তু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্র স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে তাকে। তবে মায়ের পক্ষে সর্বদা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

তার মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ছেলের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

জায়েদা খাতুন নির্বাচিত হলেও জাহাঙ্গীর আলম সিটি করপোরেশন চালাবেন-বিরোধীদের এমন প্রচারণার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটিই তো স্বাভাবিক। আমি যেহেতু এই সিটি করপোরেশনে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। সেসব থেকে আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। মা নির্বাচিত হলে আমি সার্বিকভাবে তার কাজে সহযোগিতা করব। প্রশাসনিকভাবে মা-ই প্রধান থাকবেন। কিন্তু সার্বিকভাবে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাকে যত রকমের সহযোগিতা করা যায়, তা আমি করব।

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নোটিশে আগামী ৬ ও ৭ জুন তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।

৪৮০ কেন্দ্রে ভোট দেবেন ভোটাররা। এর মধ্যে ৩৫১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ১২৯টিকে সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ হিসাবে ৭৩ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।