ইভিএমে ধীরগতি, দীর্ঘ হচ্ছে ভোটারদের লাইন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি থাকলেও ধীরগতির কারণে ভোট গ্রহণে কিছুটা বিলম্ব দেরি হচ্ছে। এতে ভোটারদের লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

শহীদ আহসানউল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাজী আলমাস উচ্চ বিদ্যালয় ও মজিদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের অনেক বড় লাইন।

এসব কেন্দ্রে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইভিএমে ভোট দেওয়ার নিয়ম বুঝতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয় তা তারা জানেন না।

এ বিষয়ে শহীদ আহসানউল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সুজন চন্দ্র দাস বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা বুঝতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা নিয়ম বুছিয়ে দিচ্ছি।

এই কেন্দ্রে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত ১৭০ টা ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮শ ৪১।

এদিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণে যাতে ধীরগতি না হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকালে টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

এই কেন্দ্রে ৮টি বুথের মধ্যে ২টিতে সাময়িক ত্রুটি দেখা দেয় সকালে। এজন্য এই দুই বুথে আসা ভোটাররা বিড়ম্বনায় পড়েন। পরে ইভিএম দুটি মেরামত করা হয়।

জানা গেছে, ভোট দিতে গিয়ে তারের সঙ্গে পা লেগে একটি ইভিএমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে এই বুথে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার জাকির হাসান তালুকদার বলেন, দুইটা বুথে ইভিএমে সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একটা বুথে পা লেগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অন্যটাতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এগুলো আমরা ঠিক করেছি।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে পাঁচটি দল। তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ভোটের মাঠে রয়েছেন আট মেয়র প্রার্থী। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছেন।