যশোরে রিকশা চালকের সাথে  যাত্রীর ঝগড়ার ঘটনায় মামলা

রিকশা ভাড়া নিয়ে এক যাত্রীর সাথে রিকশা চালকের তর্ক বির্তকের এক পর্যায় রিকশা চালককে ধারালোর অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জনগন যাত্রী বুলবুল বৈদ্য নামে এক যুবককে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

বুলবুল বৈদ্য গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার কালিগ্রামের বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি গোল্লার মোড় জনৈক জাকির এর বাড়ির ভাড়াটিয়া প্রভাত বৈদ্যর ছেলে। বুধবার ৭ জুন দুপুরে মামলাটি করেন রিকশা চালকের পিতা যশোরের কেশবপুর উপজেলার শিকারপুর উত্তর সর্দারপাড়া গ্রামের মৃত ছমির সরদারের ছেলে শাহজান আলী।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার ছেলে সালাম সরদার (১৬) একজর রিকশা চালক । সে যশোর শহরে রিকশা চালিয়ে বেড়ায়। প্রতিদিনের ন্যায় বাদির ছেলে সালাম রিকশা নিয়ে শহরের দড়াটানা মোড়ে অবস্থানকালে যাত্রী বুলবুল বৈদ্য বাদির ছেলের রিকশার কাছে এসে বলে রিকশা নিয়ে সুজলপুর ময়লাখানা মোড়ে যাবে কিনা। রিকশা চালক সালাম সরদার ৮০ টাকায় ভাড়া ঠিক করে যাত্রী বুলবুল বৈদ্যকে নিয়ে মঙ্গলবার ৬ জুন রাত সাড়ে ৮ টায় যায়। সুজলপুর ময়লা খানা মোড়ে পৌছে যাত্রী বুলবুল বৈদ্য ৮০ টাকা ভাড়া বাদির ছেলেকে ৪০ টাকা দেয়। এ নিয়ে রিকশা চালক সালাম সরদারের সাথে যাত্রী বুলবুল বৈদ্যর তর্ক-বির্তক হয়। তর্ক-বির্তকের এক পর্যায় বুলবুল বৈদ্যএর হাতে থাকা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে রিকশা চালক সালাম সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। যাত্রী পুনরায় রিকশা চালককে সেলাই রেঞ্জ দিয়ে গলার দুই পাশে আঘাত করে জখম করে। সালাম সরদারের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে যাত্রী প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে বুলবুল বৈদ্যকে আটক করে আহত রিকশা চালককে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।