কারাবন্দী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে জামিন করিয়ে দেয়ার কথা বলে পৌনে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন কারারক্ষীর মিরাজুল ইসলাম । তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করে মিরাজুল ইসলাম বলেন যশোরে কারাগারে দায়িত্ব পালন সময় এমন ধরনের কোন কাজ তিনি করেননি। তবে এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পর্তিত নেই।
গত মঙ্গলবার নয়ন নামে এক আসামির স্ত্রী জোছনা খাতুন সদর আমলী আদালতে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন ইস্যুও আদেশ দিয়েছেন।বর্তমানে মিরাজুল বাগেরহাট কর্মরত আছেন। শার্শা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের নয়ন ইসলামের স্ত্রী জোছনা খাতুনের অভিযোগ, তার স্বামী নয়নের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
কারাগারে থাকার সুবাদে কারারক্ষী মিরাজুল ইসলামের সাথে নয়নের পরিচয় হয়। তিনি বলেন, নয়নকে জামিনকরে দিবে এ শর্তে টাকা লেদদেন হয়েছে। মিরাজুল সাথে জাহাঙ্গীর নামে আরও এক কারারকাক্ষী জড়িত বলে তিনি জেনেছে।
তবে কত টাকা লেদদেন হয়েছে তা তিনি জানেন না। বন্দী নয়ন সব জানেন বলে তিনি দাবি করেন। তবে জোছনা খাতুনের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন মিরাজুল। তিনি বলেন, এ ধরণের কোন লেনদেন তার সাথে হয়নি। আমাকে ফাঁসানো জন্য এ মামলা দেয়া হয়েছে। আর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জোসনাকে আমি চিনি না । ফলে দেনদেনের কোন প্রশ্ন উঠে না।