১৩ জুনের মধ্যে সারাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে, কোনো লোডশেডিং থাকবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশে কয়লা আসা শুরু করেছে।
১২-১৩ তারিখের মধ্যে আমরা পূর্বের অবস্থায় চলে আসবো। আর কোনো লোডশেডিং থাকবে না।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পথ সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের কয়লা সংকট দেখা দেয়।
কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে কয়লা আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক করা হয়েছে। আজকে খুলনা বিভাগ ঠিক করা হচ্ছে। আগামী ১২-১৩ তারিখের মধ্যে আমরা পূর্বের অবস্থায় চলে আসবো। আর কোনো লোডশেডিং থাকবে না।
এদিন তিনি শালিকা গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ ছিল। সেটিকে শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতে রূপান্তরিত করেছেন। বিএনপি সব সময় অপপ্রচার চালায়। বিদ্যুতের বিষয়টা অপপ্রচার। এই বিদ্যুৎ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করেছি এবং শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। সাময়িক সমস্যা ছিল সেটি কেটে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলের শেষ বছরে, ২০০৬ সালে ছিল ৩২-৩৪শ মেগাওয়াট। এখন প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ৩৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অটোরিকশার ব্যাটারি রিচার্জে খরচ হচ্ছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বিএনপি ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকাকালীন ৩২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। বর্তমানে আমরা তার থেকে বেশি অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জে ব্যবহার করছি। এটা বিএনপিকে মাথায় রাখতে হবে।