অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনায় ভোটাদের উপস্থিতি কমে গেছে। ফাঁকা হয়ে গেছে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বেলা ১১টা পর্যন্ত গড়ে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রের (২১৪) প্রিজাইডিং অফিসার রণজিৎ কুমার বিশ্বাস জানান, তার কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৩৫টি ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ১ হাজার ৪৯৩। সে হিসেবে ভোটের হার ৯ দশমিক ০২ শতাংশ।

নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মানিক জানান, ১ হাজার ৬৫৮ জন ভোটারের মধ্যে ১১ টা পর্যন্ত ১৭০ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

একই সময় নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের পিটিআই মহিলা কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ০২ শতাংশ এবং পুরুষ কেন্দ্রে ৯ শতাংশ ভোট করেছে বলে দুই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

২৫নং ওয়ার্ডের শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র

তবে ব্যতিক্রম ছিল ১৭নং ওয়ার্ডের খুলনা কলেজের স্কুল কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ১১ টা পর্যন্ত ৫৩৩ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে এখনও ভোটারের বেশ ভালো উপস্থিতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।

এ ছাড়া খুলনা সিটির সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।