ভোটে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বৈরী আবহাওয়া, সরঞ্জাম যাচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে বুধবার। তবে ভোটে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বৈরী আবহাওয়া। ভারী বৃষ্টি হলে একাধিক ভোটকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়তে পারে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নির্বাচনী প্রচারণাও ব্যাহত হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোটের সামগ্রী পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে তা কিছুটা দেরি হয়। ‍দুপুরে নগরীর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ করে নির্বাচন কমিশন। সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছাতে গভীর রাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির বলেছেন, ভোটের সামগ্রী কেন্দ্র পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঠিক সময়েই তা সব কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার ও আর্মড পুলিশ থাকবে।

অন্যদিকে, সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সীমান্তবর্তী গেয়াইনঘাট উপজেলার গ্রামীণ সড়কও ডুবে গেছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিফ আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষণের ফলে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। সুরমা কানাইঘাট পয়েন্টে পানি কমলেও মঙ্গলবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার কুশিয়ারা নদীর সব পয়েন্টে পানি বেড়েছে ও সুরমার দুটি পয়েন্টেই পানি কমেছে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পানি উঠার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি চলতে থাকলে জলাবদ্ধতাও তৈরি হতে পারে।

বুধবার অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডসহ ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এবারে ভোটার চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য, ৫১টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি রিজার্ভ ফোর্স থাকবে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, সিটি নির্বাচনে তাদের স্পেশাল টিম মাঠে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনসহ সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।