উভয় কূল হারালেন বিএনপির ২৫ নেতা

bnp logo

সিলেট সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন বিএনপির ৩৪ নেতা। এ কারণে তাদের দলের সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এ নেতাদের মধ্যে মাত্র ৯ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৮ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১ জন। আর বাকিরা উভয়কূল হারিয়েছেন।

কউন্সিলর পদে নির্বাচিতরা হলেন-১ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মুনিম (ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল (ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রকিব তুহিন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবির সুহিন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন এবং সংরক্ষিত ৪ নম্বরে ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা।

আর প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন, মেয়র প্রার্থী ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কোমাল মিয়া, সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জুবের, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বিলুপ্ত বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নুরুল ইসলাম মাসুম, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত ও ওয়ার্ড কৃষক দলের আহ্বায়ক ইউনুস মিয়া, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গউছ উদ্দিন পাখি, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক উসমান হারুন পনির, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে পরাজিত বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেট জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তিন্নি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টানা চারবারের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রার্থী হননি।