বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সরকার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এক দফার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে গণতন্ত্রমনা সব দল কর্মসূচি দিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা নগরীর একটি হোটেলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফের চাপে সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ২৩.৭ মিলিয়ন ডলার। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ শেষ করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র শেষ করেছে। ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নিহত পাঁচ নেতার পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের জন্য উপবৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়। উপবৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন, সাতক্ষীরার বিএনপি নেতা ওলিউল্লাহর স্ত্রী সালিমা, বাগেরহাটের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নূরে আলম ভূঁইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ঝিনাইদহের বিএনপি নেতা মিন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী মোসাম্মাৎ তাহমিনা আক্তার, ঝিনাইদহের যুবদল নেতা পলাশের বাবা গোলাম মোস্তফা এবং খুলনার ফুলতলার শেখ মো. সাজ্জাদুজ্জামান জিকোর মা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প উপকমিটির আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শাহ মো. আমানুল্লাহ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুস সাদাত।
