যশোরে পালিত কন্যাকে কয়েক দফা ধর্ষণের পর হত্যা ঘাতক আটক

যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের সাতমাইল এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনের পিছনে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা মরদেহের পরিচয় মিলেছে। সে সাতক্ষীরা জেলা সদরের ছলিমপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের মেয়ে আখি মনি (১৫)।

যশোর ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, আখি মনির সৎ পিতা মিন্টু সরদার একাধিকবার ধর্ষণের করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় তাকে।আটক মিন্টু সরদার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের সোলেমান সরদারের ছেলে।
যশোর জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বিলাল হুসাইন এক প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এসব তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মিন্টু সরদার তার সৎ মেয়ে আখি মনিকে চৌগাছায় বলুহর মেলা দেখতে নিয়ে আসে গত ১৬ সেপ্টেম্বর। মেলা দেখে যশোর রেলস্টেশনে হোটেল বৈকালীতে ওঠে। রাতে মিন্টু সরদার আখি মনিকে ধর্ষণ করে। ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে হোটেল ত্যাগ করে রেলস্টেশনের পাশে একটি ঝোপের ভিতরে আবার তাকে ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে ট্রেনে করে নিজ বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ভেতর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আঁখি মনিকে। হত্যা করে যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল মথুরাপুর গ্রাম এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে‌ ফেলে দেয়। পরের দিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিন্টু সরদারকে আটক করে। আটক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের খুলনা রেলওয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর ডিএসবির ইনচার্জ মামুন খান, ডিবির ওসি রুপণ কুমার সরকার ও এসআই মফিজুল ইসলাম, ও যশোর জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান মোল্লা।এঘটনায় আখির মা নুরজাহান বেগম ,মিন্টু সরদারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী মৃধা বলেন, আখি মনিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং৩ । মামলাটি যশোর জিআরপি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান মোল্লা তদন্ত করবেন।