শহরের মুসলিম একাডেমি স্কুলের সামনে থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা
হাসান আলী হাবিব নামে এক যুবককে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে
অপহরন ও মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
যশোর
শহরের ওয়াবদা বনবিথীলেন এলাকার হায়দার আলীর ছেলে হাসান আলী
হাবিব মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি শহরের বটতলা দিঘীর কাঠালতলা নদীর পাড়
এলাকার বজলু খলিফার ছেলে আরিফ ওরফে কালা আরিফকে গ্রেফতার করে
আদালতে পাঠিয়েছে। মামলায় আসামিরা হলো শহরের মানিকতলা
কাজীপাড়ার রহিমের ছেলে বাবু ওরফে সজলসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় উল্লেখ হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে হাসান আলী হাবিব
প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথ্যিমধ্যে রাত পৌনে ১২ টার
দিকে মুসলিম একাডেমি স্কুলের সামনে বাদি পৌছুলে বাবু ওরফে
সজল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদেরকে নিয়ে বাদির গতিরোধ
করে। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদি হাসান আলী হাবিবকে তাদের
কাছে থাকা নাম্বার বিহিন মোটর সাইকেলে অপহরণ করে শহরের
মানিকতলা নদীর পাড় বাবু ওরফে সজলের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষের
মধ্যে আটকে রাখে। আরিফ ওরফে কালা আরিফ সেখানে এসে বাদির
কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে চাঁদা দাবি করে। বাদি চাঁদা
দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সকল আসামি বাদিকে এলোপাতাড়ী
মারপিট করে জখম করে। বাদির কাছে থাকা তার নামীয় ডাচ বাংলা
ব্যাংকের একটি ডেভিট কার্ড, বোন মারিনা সুলতানার নামীয়
আইএফআইসি ব্যাংকের একটি ভিসা কার্ড দু’টি নিয়ে নেয়।
আসামিরা বাদিকে ঘরের মধ্যে আটক করে সারারাত মারপিট করে। বাদির
কাছ থেকে ডেভিট কার্ডের পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। বাদির নিকটে
থাকা ডাচ বাংলা ব্যাকের একটি চেকের পাতায় ৭৫ হাজার ৫শ’ টাকা
লিখে স্বাক্ষর করে নেয়। পরের দিন ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টার পর থেকে সকাল
৮ টা ১০ মিনিটের মধ্যে আসামীরা আইএফআইসি ব্যাংকের
গাড়ীখানা রোডস্থ বুথ থেকে কর্ডের মাধ্যমে তিন বার ১ লাখ টাকা
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কাজীপাড়া ও পালবাড়ী মুর্তির মোড়স্থ বুথ থেকে
৩ বারে ৫০ হাজার টাকা ও চেকের মাধ্যমে ৭৫ হাজার ৫শ’ টাকা উত্তোলন
করে। আসামিরা বাদিকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য এবং আগামী ২
দিনের মধ্যে আসামীদেরকে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে
হবে বলে হুমকী দিয়ে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে বাদিকে তার
বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। বাদি আহত অবস্থায় প্রথমে বাড়িতে
এসে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল
হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা
প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের দাবিকৃত সাড়ে ৩ লাখ
টাকার জন্য বাদিকে হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা যে কোন সময় বাদিকে
মারপিট খুন জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে বাদি আশংকা
প্রকাশ করেছে। চাদাবজির সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ আরিফ ওরফে
কালা আরিফকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে সোপর্দ
করা হয়।