যশোরে অপহরনের পর চাঁদার দাবিতে জাহাঙ্গীর আলম (২৩) নামে এক
যুবকে মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলার জামালপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে
জাহাঙ্গীর আলম রোববার মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ
অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ
উঠতি বয়সি কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো যশোরের বাঘাপাড়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের
সুকুমার বিশ^াসের ছেলে মুক্ত বিশ^াস ওরফে অনিক, যশোর শহরের
কাঠেরপুলের (কাশারীপট্টি চায়ের দোকান) জসিম মোল্লার ছেলে লিমন
মোল্লা, খালধার রোড (আলিয়া মাদ্রাসার সামনে) রবিউল ইসলামের ছেলে
হাসিব, লোন অফিসপাড়ার শেখ আমিনুদ্দীনের ছেলে আব্দূল্লাহ, খালদার
রোড (সালাম মুন্সীর বাড়ির ভাড়াটিয়া) রাজ্জাকের ছেলে সাহাজুল,
কাঠেরপুল এলাকার কালুর ছেলে তুহিন, পূর্ববারান্দি মাঠপাড়ার জসিম
হোসেনের ছেলে রায়হান ওরফে মেহেদী, খালধার রোড (সুলতান প্রেস)
এলাকার জামাল ফারাজির ছেলে মুন্না হোসেন, লোন অফিস পাড়ার
রফিকুল ইসলাম লিটনের ছেলে তাইম ওরফে তানভিন এলাহি তাহিন, পূর্ব
বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলার আব্দুল গফুরের ছেলে আকাশ বিশ^াস।
এছাড়া লোন অফিসপাড়া রাফসান, বারান্দীপাড়া (নাথপাড়া) এলাকার
সাইম, ও খালধার রোড নিকারি পাড়ার আমীনকে পুলিশ আটক করতে
পারেনি।
মামলায় তিনি বলেন, মুক্ত বিশ^াসের সাথে বাদির বেশ কয়েকদিন
পূর্বে ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মুক্ত বিশ^াসের
সাথে মাঝে মধ্যে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো। গত ২৪
সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ৩ টায় জাহাঙ্গির আলম বাড়ি থেকে যশোর শহরের
আরএন রোডস্থ জোনাকী মেশিনারীজ দোকানের সামনে মোটর
সাইকেলের শোরুমে আসেন। বতার মোটর সাইকেলটি মেরামত করার জন্য
শোরুমে রেখে বেলা সাড়ে ৩ টায় শহরের খালধার রোডস্থ আদর্শ স্কুলের
সামনে এক নাম্বার আসামি মুক্ত বিশ^াসের সাথে দেখা করার জন্য যায়।
সেখানে পৌছুলে গ্রেফতারকৃত আসামিছাড়াও তাদের সহযোগী
শহরের খালদার রোড (নিকারী পাড়া) এলাকার আমিনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন
আসামিকে দেখতে পায়। আসামিরা কোন কথাবার্তা না বলে
জাহাঙ্গীর আলমকে অপহরণ করে সিএন্ড বি স্টাফ কোয়ার্টারের মধ্যে
নিয়ে অবৈধ ভাবে আটক করে রেখে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক
পর্যায়ে মুক্ত বিশ^াস বাদি জাহাঙ্গীরের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা
দাবি করে। বাদি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা
বাদিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আসামিদের দাবিকৃত চাঁদার ২০
হাজার টাকা বাদির কাছে নাই বলে জানালে আসামি লিমন মোল্লা ও
হাসিব বাদিকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে ফোলা জখম করে। এক
পর্যায় লিমন মোল্লা বাদির পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে নগদ ৯
হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে নেয়। আসামিদের দাবিকৃত
চাঁদার আরো ১১ হাজার টাকা না দিলে বাদিকে তারা ছাড়বে না মর্মে
হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাদি
আসামিদের নিকট থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। বাদি বিষয়টি
পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে মামলা করে। পুলিশ রোববার রাতভর
অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় লিমন মোল্লা ও
হাসিব কাজীর কাছ থেকে চাঁদা স্বরুপ নেওয়া টাকাসহ বিভিন্ন
আলামত জব্দ করে। অন্য তিনজন সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান
অব্যাহত রেখেছে। #