জিয়াউর রহমানকে সন্তানের মতো দেখেছেন বাবা: কাদের সিদ্দিকী

জেলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে দেখতে পারতেন না বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। তবে আমার বাবা জিয়াকে দেখতে পারতেন।

কারণ, তৎকালীন বাবার যখন পা ফোলা ছিল, তখন জিয়াউর রহমান গিয়ে পা (বাবার) টিপতেন। শেষ দিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানকে সন্তানের মতো দেখেছেন বাবা।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে গ্রামে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের আগে এমব কথা বলেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের পরিবারে কৃতজ্ঞতাবোধ আছে। জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে আমার বাবা কোর্টে যাচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময়ে শহরের কুমুদিনী কলেজের সামনে বাবাকে দেখে জিয়াউর রহমান গাড়ি থেকে নেমে তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছিলেন। আমার বাবা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে খারাপ কথা শুনতে পারতেন না। শেষ দিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানকে সন্তানের মতো দেখেছেন।

বঙ্গবীর বলেন, সারা দেশে কি হবে জানি না, তবে আমরা টাঙ্গাইলকে সম্মানিত করব। বড় ভাইকে বলতে চাই, আপনার মতের বিরুদ্ধে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। পারলে আমাকে সাহায্য কইরেন, না পারলে আপনাকে আপনি সাহায্য কইরেন। মানুষকে সাহায্য কইরেন। জীবনের শুরু যেটা দিয়ে সেই শুরুকে যাবারকালে কলঙ্কিত কইরেন না। আল্লাহকে ভরসা করুন। আমাদের সামনে বিকল্প নাই, আমাদের সামনে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু। আমরা তাকে ছাড়তে পারি না। যে যাই বলুক। বরং আওয়ামী লীগ ঠিক লাইনে নাই। বঙ্গবন্ধু কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে কবর দিয়ে বঙ্গবন্ধু কবরে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিরাপদ করতে হলে, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার যে প্রচেষ্টা, সেটাকে প্রতিহত করতে হলে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, তার ছোট ভাই আবুল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অন্যান্য নেতা কর্মীসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।