যশোরে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

যশোরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সোলাইমান (৩৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। শহরের টিবি ক্লিনিক মোড়ে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এঘটনা ঘটে। নিহত সোলাইমান ওই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, একই এলাকার জসিম নামে এক যুবকের কাছ থেকে চিহ্নিত ছিনতাইকারি জনি ও নিয়ামত আলীর ছেলে আরাফত ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় সোলাইমান জসিমকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে ছিনতাইকারিরা সোলাইমানকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সোলাইমান ও জসিমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোলাইমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে জানতে কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম ও ওসি অপারেশন পলাশ বিশ^াসকে ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

 

এদিকে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে সোলাইমান নিহতসহ গত দুদিনে মোট তিনটি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। এর আগে আরো দুইটি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে।

 

শহরের রেলগেট রেলওয়ে স্টেশন ও শঙ্করপুর গারোয়ান পট্টি এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জাফর ,মেহেদী ,আসিফ, ট্যাটু সুমন সহ ১০ /১৫ জনের একটি ছিনতাইকারী দল সবসময় এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে চলে। এদের নাম পুলিশ প্রশাসনের তালিকায় থাকলেও এরা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এসব সন্ত্রাসীরা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সরকারি দলের ক্যাডার এর ছত্রছায়ায় থাকে ।

 

যশোর শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন সময় ছিনতাই ঘটনা ঘটনা ঘটে চলেছে।২৫ জানুয়ারি সকালে হামিদপুর ও সীতারামপুরের মধ্যবর্তী স্থানে পুলিশ সদস্য তৈয়বুর রহমানের (৩৫) কাছ থেকে ৫/৬ জন ছিনতাইকারি মোটরসাইকেল, সোনার অলংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তৈয়বুর ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মোকাদ্দেস হোসেন বাবুর ছেলে। তিনি সাতক্ষীরায় কর্মরত। ২৫ জানুয়ারি সকালে বাড়ি আসছিলেন। তার কাছে ভাগ্নের বিয়ের জন্য কেনা গহনা ছিলো। এ ছাড়া একই দিন ব্যুরো বাংলাদেশ নামে এনজিওর ফিল্ড অফিসার মাহমুদা খাতুন কিস্তির টাকা তুলে যশোর শহরের দিকে আসছিলো। এ সময় বসুন্দিয়া মধ্যপাড়া নবারুল কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সামনে পৌঁছুলে মাহমুদার হাতে থাকা ব্যাগে কিস্তির ৪২ হাজার ৫৮২ টাকা ছিনতাই করে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ রেজওয়ান বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে। যশোরের নাগরিক সমাজ বলেছেন, আইন শৃংখলা বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা খুবই ন্যাক্কার জনক। হত্যা ছিনতাই রাহাজানি চাঁদাবাজি সব কিছুই বৃদ্ধি পেয়েছে।